আষাঢ়ের উষ্ণ এক সন্ধ্যায় অদৃশ্য বর্ষণ নেমে এলো গান-কবিতা আর নৃত্যের হাত ধরে। যেসব পরিবেশনায় মিশে ছিল বর্ষা আর বৃষ্টির শীতল অনুভব। আয়োজনটি সাজিয়েছে শুদ্ধ সংগীত চর্চার কালজয়ী প্রতিষ্ঠান সংগীত ভবন।
শুক্রবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় ‘বর্ষামঙ্গল’ শীর্ষক এই আসর বসে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ শুরু হয় সংগীত পরিবেশনা।
এর আগে বক্তব্য দেন সংগীত ভবনের সভাপতি মাহমুদ সেলিম। তিনি বলেন, ‘গান মানুষের সর্বশেষ্ঠ শিক্ষক। আসলে মানুষ তো জন্মে পশুর মতো, কিন্তু মানুষকে মানুষ করে সংস্কৃতি। এমন দিন আসছে পৃথিবীতে, বা চলছে এখন, সংস্কৃতি চর্চা বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টাটি সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে অব্যাহত আছে। আমাদের গান বন্ধ করে দেওয়া হবে, আমাদের কবিতাগুলি ছাঁটাই করা হবে; আমাদের নানাভাবে পঙ্গু করার চেষ্টা করা হবে, হচ্ছে। সেখানে একটি শিশুর গান শেখা যে কী কঠিন, সংগ্রাম, সেই সংগ্রামকে আমরা চালিয়ে নিয়ে যেতে চাই। একা নয়, আমরা চাই আপনারাও আপনার শিশুকে গান, কবিতা, আবৃত্তি শেখান। কারণ শিল্প মানুষের মস্তিষ্কে যে বিকাশের সুযোগ তৈরি করে দেয়, সেটি অন্য কিছুতে সম্ভব না।’
দলীয় পরিবেশনা দিয়ে শুরু হয় সংগীত পর্ব। ‘নীল অঞ্জন ঘন কুঞ্জ ছায়া’ শিরোনামের রবীন্দ্রসংগীতটি পরিবেশন করেন শিল্পীরা। এরপর একক কণ্ঠে পরিবেশন করা হয় ‘আজ শ্রাবণের আমন্ত্রণে’, ‘মেঘেরও ডমরু’, ‘বাদল মেঘে মাদল বাজে’, ‘বধূ এমন বাদলে তুমি’, ‘এসো গো জ্বেলে দিয়ে যাও’, ‘রিমিকি ঝিমিকি ঝরে’, ‘এসো হে সুজল শ্যামল’, ‘শ্রাবণ বর্ষণ সংগীতে, ‘চঞ্চল শ্যামল এলো গগণে’, ‘মনে কী দ্বিধা’ ইত্যাদি গানগুলো।
এছাড়া গানের ফাঁকে ফাঁকে ছিল বর্ষা ও বৃষ্টি সম্পর্কিত কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশনা। সবমিলিয়ে গান-কবিতা-নৃত্যে সন্ধ্যাটি যেন হয়ে ওঠে শ্রাবণের ধারার মতো সুরেলা, সুন্দর।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]