
বসন্তের আগমন মানেই শীতের পোশাকের বিদায় নেওয়ার পালা। কিন্তু শীতের পোশাক বা লেপ-কম্বল গুছিয়ে রাখা সহজ নয়। বছরের বেশির ভাগ সময়ই এই পোশাকগুলি বাক্সবন্দি থাকে।
তাই অযত্নে থাকলে শীতবস্ত্র খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। রইল এমন কিছু টোটকা, যাতে ভাল থাকবে সোয়েটার, জ্যাকেট।
১) না ধুয়ে শীতের পোশাক আলমারিতে ঢোকানোর কথা ভুলেও মাথায় আনবেন না। ময়লা বা শরীর থেকে নির্গত তৈলাক্ত পদার্থ অনেক সময় খালি চোখে দেখা যায় না। কিন্তু এগুলি দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে শীতবস্ত্রের ক্ষতি করে। পাশাপাশি এগুলি পোকামাকড় ও ছত্রাক ডেকে আনে। ধুতে না পারলে নিদেনপক্ষে ড্রাই ওয়াশ করে নিন।
২) গরম জামার সঙ্গে অন্য কোনও পোশাক কাচবেন না। অনেকেই একসঙ্গে সব পোশাক ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে দেন। এটা না করলেই ভাল। এতে সময় বাঁচলেও গরম পোশাকের আয়ু কমে যাবে। তাই শীতের পোশাক আলাদা কাচুন।
৩) শীতের পোশাক রোদে দেওয়ার আগে ভাল করে জল ঝরিয়ে নিন। জল-সহ রোদে মেলে দিলে শুকোতে অনেক দেরি হবে। তা ছাড়া দীর্ঘ ক্ষণ রোদে রাখলে গরম পোশাকের আয়ুও অনেক কমে যায়।
৪) আলমারিতে তোলার সময় কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল দিয়ে দিতে পারেন। এতে কটু গন্ধ হবে না। পাশাপাশি আর্দ্র ও স্যাঁতসেঁতে জায়গায় শীতবস্ত্র রাখবেন না। এক একটি বস্ত্রের মাঝে টিস্যু পেপার দিয়ে দিন। আর্দ্রতাই শীতবস্ত্রের মূল শত্রু। মাঝে টিস্যু পেপার থাকলে তা অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষণ করে নিতে পারে।
৫) শীতের পোশাক ভাঁজ করে রাখাই ভাল। ঝুলিয়ে রাখলে উল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে একসঙ্গে অনেকগুলি সোয়েটার জমা করে রাখবেন না। আলাদা আলাদা বায়ুশূন্য ব্যাগে ভরে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভাল। এতে আর্দ্রতা ও ধুলোবালি কিছুই ঢুকতে পারবে না। আলাদা ভাবে প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে রাখতে পারেন। তবে যে ভাবেই রাখুন না কেন, মাঝেমধ্যে বার করে রোদে দিতে হবে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]