শিরোনাম
আতঙ্ক নয়, জ্বর-সর্দিতে প্রয়োজন ডাক্তারের পরামর্শ
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:১২
আতঙ্ক নয়, জ্বর-সর্দিতে প্রয়োজন ডাক্তারের পরামর্শ
অনামিকা রায়
প্রিন্ট অ-অ+

একে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ভয়, তার মধ্যেই সকালে এবং রাতের দিকে তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি এবং জ্বর। এই পরিস্থিতিতে ঠিক কী হয়েছে, তা না বুঝেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন অনেকে। চিকিৎসকেরা যদিও অযথা আতঙ্কিত না হওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, জ্বর এবং সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ থাকলে বিভ্রান্ত না হয়ে নিজেকে কয়েক দিন অন্যদের থেকে পৃথক রাখুন। তার পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শারীরিক পরীক্ষা করান।


চিকিৎসকদের মতে, অযথা বিভ্রান্ত হওয়া এবং বিভ্রান্তি ছড়ানো রোগ ছড়ানোর থেকে কম নয়। প্রতি বছরই এই সময়টায় তাপমাত্রা দিনের বেলায় এক রকম থাকে, রাতে অন্যরকম। সেটা মাথায় রেখে প্রথমেই কোভিড হয়েছে ধরে না নিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে কোনো রকম জ্বর-সর্দি-কাশিকেই হাল্কা ভাবে নেয়া যাবে না। এটা ইনফ্লুয়েঞ্জাও হতে পারে, কোভিডও হতে পারে। ফলে যথাযথ পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।


তাপমাত্রার এই ওঠানামার সময়ে নিজেকে ভাল রাখার পদ্ধতি এক-একটি বয়সের জন্য একেক রকম। সকলকেই মাথায় রাখতে হবে যে, রাতের দিকে ঠান্ডা পড়তে পারে ভেবে দুপুরেই যেমন গরম পোশাক গায়ে চাপানো যাবে না, তেমনই সকালে গরম পোশাক গায়ে চাপিয়ে বেলা পর্যন্ত তা নিয়ে ঘোরাও অনুচিত হবে।


কোভিড পরিস্থিতিতে সংক্রমণ এড়াতে আগের চেয়ে পানির ব্যবহার অনেকটাই বেড়েছে। ফলে তাপমাত্রা পরিবর্তনের এই সময়ে কতটা উষ্ণ জল ব্যবহার করা হবে, সেটাও মাথায় রাখা দরকার। সেই সঙ্গে যাঁদের অ্যাজমার সমস্যা বা ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁদেরও আরো বেশি করে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কোভিডের টিকা কবে আসবে, সে জন্য অপেক্ষা না করে যাঁর যা ভ্যাকসিন নেয়ার কথা, সেটাও দ্রুত নিয়ে নেয়া প্রয়োজন।


জ্বর-সর্দি-কাশি দেখলেই ভূত দেখার মতো করার দরকার নেই। সচেতন হওয়া মানে কিন্তু আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়া নয়। অনেকেই জ্বর হলেই কোভিড ভেবে হাসপাতালে হাসপাতালে ভিড় করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইনফ্লুয়েঞ্জা বা কোভিড চরিত্রগত ভাবে এতটাই কাছাকাছি যে, পরীক্ষা ছাড়া কিছুই বলা সম্ভব নয়। তাই পরীক্ষার আগেই কী রোগ ধরে নিয়ে এই মুহূর্তে পথ চললে বড় মুশকিল।


ভাইরোলজিস্টদের মতে, কোনো ভাবেই জ্বর-সর্দি বা কাশির লক্ষণ নিয়ে এই মুহূর্তে বসে থাকা যাবে না। আতঙ্কিত না হওয়াটা অবশ্যই দরকার। কিন্তু কোনও রকম লক্ষণ দেখা গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কয়েক দিনের মধ্যেই করোনা পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও পরের অন্তত দু’সপ্তাহ বিষয়টিকে হাল্কা ভাবে নেয়া চলবে না। আতঙ্ক নয়, যে কোনো ধরনের সংক্রামক ব্যাধি এড়িয়ে ভাল থাকার এটাই উপায়।


যতটা পারা যায়, ঠান্ডা না লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে। গরম পোশাক পরার পাশাপাশি দিনের কিছুটা সময় গায়ে রোদ লাগানো গেলে ভাল। জ্বর-সর্দি যদি কোভিড থেকে না হয়, তা হলে গলা ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া বা গায়ে-হাতে-পায়ে ব্যথা থাকে। তাই নিজেরা আগাম ধরে না নিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিন।


বিবার্তা/এসএ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com