
এমনিতেই শীতকাল তার উপর আবার বেশ জমিয়ে দিচ্ছে হিমেল হাওয়া! গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো সঙ্গী হাঁচি, কাশি, সঙ্গে মাথা যন্ত্রণা, চোখ-নাক দিয়ে পানি পড়া! আসলে, আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে শরীরের খাপ খাওয়াতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। ফল? একটুতেই ঠান্ডা লাগা!
তারপর? ডাক্তারের দ্বারস্থ হয়ে গাদা গাদা অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া! মাথায় রাখবেন, অ্যান্টিবায়োটিক বা কাফ-সিরাপের সাইড-এফেক্টও কিন্তু মারাত্মক! কাজেই প্রথম থেকেই সতর্ক হন! গোটা শীতকাল নিয়মিত কয়েকটা ঘরোয়া টোটকা খান, সর্দি কাশি ধারে কাছে ঘেঁষবে না!
আদা, লেবু ও মধু:
আদায় থাকে জিঞ্জারল, জিঞ্জারন-এর মতো অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট-এর মতো উপাদান যা ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচায়। এক কাপ পানিতে আদা কুচি ফেলে ফুটিয়ে, লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে রোজ সকালে খালিপেটে খেয়ে নিন। লেবু ও মধু দুই-ই প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, কাজেই শরীরে জমে থাকা টক্সিনও দূর করে।
দারুচিনি-পানি:
দারুচিনি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। গরম পানিতে কয়েক টুকরো দারুচিনি ফেলে, ফুটিয়ে নিয়মিত খান। বুকে কফ জমবে না! পাশাপাশি সাইনাস ও মাইগ্রেনের সমস্যাও দূর হবে!
গোলমরিচ চা:
গোলমরিচে রয়েছে পিপারিন-এর মতো কেমিক্যাল যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রোজ সকালে খালি পেটে এক কাপ চায়ে ৩-৪টে গোলমরিচগুঁড়ো মিশিয়ে খান! হাঁচি, কাশি, বুকে কফ জমা, নাক বন্ধর মতো সমস্যা নিমেষে পালাবে!
বিবার্তা/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]