জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তিতর্ক শুনানিতে দুই আসামির আদালতের প্রতি অনাস্থা জানানোয় আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার জামিন বাতিল করেছে আদালত।
একইসাথে অনাস্থা বিষয়ে আদেশ ও যুক্তিতর্ক শুনানির পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করা হয়েছে।
রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত অস্থায়ী ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান সোমবার এ আদেশ দেন। আদালতে এ দিন এই মামলায় যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল।
এ মামলার চার আসামি হলেন- কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব ও বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এর মধ্যে হারিছ চৌধুরী পলাতক রয়েছেন। ‘অনিচ্ছা’ জানিয়ে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তার অনুপস্থিতিতেই সোমবার বেলা ১১টার দিকে মুন্না ও মনিরুলের পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়।
মুন্না আদালতে যুক্তিতর্ক শুনানি মুলতবি করার জন্য আবেদন করেন। তিনি বলেন, আসামিদের কোরাম হয়নি। আমি সংক্ষুব্ধ, আমি উচ্চ আদালতে যাবো। মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হোক।
বিচারক তার এ আবেদন নামঞ্জুর করলে আদালতের প্রতি অনাস্থা জানান মুন্না, একইসঙ্গে মনিরুলও। তখন অস্থায়ী জামিনে থাকা মুন্নার জামিন বাতিল করেন আদালত। তবে মনিরুল স্থায়ী জামিনে থাকায় তার জামিন বহাল থাকে।
এছাড়া মুন্না ও মনিরুলের অনাস্থা বিষয়ে আদেশ এবং পরবর্তী যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন আদালত।
এছাড়া দেশের বিশেষায়িত কোনো হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর দেশের বিশেষায়িত কোনো হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে কারা কর্তৃপক্ষকে প্দক্ষেপ নেয়ার জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার পর থেকেই পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া।
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]