মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধের মামলায় পটুয়াখালীর ইসহাক সিকদারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছে ট্রাইব্যুনাল।

উভয় পক্ষের আইনি যুক্তিতর্ক শুনে বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বুধবার মামলাটির রায় যে কোনো দিন ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রাখে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা ও ধর্ষণের দুই ধরনের অপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে গত বছর বিচার শুরু হয়েছিল মানবতাবিরোধী অপরাধের এই পাঁচ আসামির। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান ও সালাম খান।

এই মামলার অন্য চার আসামি হলেন- আব্দুল গণি হাওলাদার, আব্দুল আওয়াল ওরফে মৌলবী আওয়াল, আব্দুস সাত্তার প্যাদা ও সোলায়মান মৃধা।

আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ ৬ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জনকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। যাদের মধ্যে আটজন বীরাঙ্গনা জীবিত আছেন।

প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৭ জনকে হত্যা ও ১৫ নারীকে ধর্ষণের সুনির্দিষ্ট দুটি অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এদের মধ্যে ছয়জন সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধের সময় এ আসামিদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আর তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়া বাকি সাক্ষীরা ভুক্তোভোগী পরিবারের সদস্য।

বিবার্তা/জাকিয়া