জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় দুই পুুলিশ সদস্যসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া একজন পুলিশ কনস্টেবলকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জুলাই আগস্টে মিরপুর, রামপুরা, উত্তরায় গণহত্যার মামলার ঘটনায় এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটররা জানান, এ মাসেই শেষ হচ্ছে জুলাই-আগস্টে সবচেয়ে বেশি নৃশংসতার ঘটনায় কয়েকটি মামলার তদন্ত। এদিন তদন্তের অগ্রগতি জানতে চান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

জানা গেছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থান রুখে দিতে নির্বিচারে হত্যা, গণহত্যা চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মাঠে ছিল আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর ক্যাডাররা।

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বলছে, এখন পর্যন্ত ১৮ মামলায় ১১৫ জনকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫২ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, ৪৫ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং ৯ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তা। মোট আসামির মধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন ৩৫ জন।

রবিবার এসব মামলার তদন্তের অগ্রগতি জানতে চান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান, এ মাসেই কয়েকটি মামলার তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হবে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ জানান, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় মিরপুর, রামপুরা, উত্তরার ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরমধ্যে ২ জন পুলিশ সদস্য এবং ৫ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।

এছাড়া ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুলে নির্বিচারে গুলির সঙ্গে জড়িত পুলিশ কনস্টেবল সুজনকে ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।

বিবার্তা/এমবি