গুলশানে বেনজীরের চার ফ্ল্যাটে প্রবেশে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৪, ১৬:৪৪
গুলশানে বেনজীরের চার ফ্ল্যাটে প্রবেশে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

রাজধানীর গুলশানে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে থাকা চারটি ফ্ল্যাটে প্রবেশে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


৩০ জুন, রবিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই নির্দেশ দেন।


দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে গত ২৭ মে ওই চারটি ফ্ল্যাট জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে ৪ জুন ফ্ল্যাট দেখভালের জন্য তত্ত্বাবধায়ক (রিসিভার) নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেন একই আদালত।


ওই আদেশের পর চারটি ফ্ল্যাটে প্রবেশের জন্য গেলেও চাবি না থাকায় দেখভালে নিয়োজিত দুদক কর্মকর্তা ফিরে আসেন। এ কারণে সেখানে প্রবেশের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের আবেদন করে দুদক। দুদকের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এই তথ্য জানিয়েছেন।


দুদকের পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ (সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিট) সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটগুলোতে অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে বিনা বাধায় ফ্ল্যাটে তত্ত্বাবধায়কের প্রবেশ, মালামালের ইনভেনটরি, স্পেসের পরিমাপপূর্বক ভাড়া নির্ধারণ করার বিষয়ে সদয় আদেশ/নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন।


পরে দুদকের পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ বিষয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত ফ্ল্যাটে প্রবেশে একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ দেন। তার উপস্থিতিতে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করবেন চারটি ফ্ল্যাটের দেখভালে নিয়োজিত থাকা দুদক কর্মকর্তা।


দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে— অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে ক্রয়কৃত গুলশান-১ এ অবস্থিত রাংকন আইকোন টাওয়ারের চারটি ফ্ল্যাটের সঠিক নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দুদকের পরিচালককে (সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিট) রিসিভার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এই আদেশ পাওয়ার পর পরিচালক (সম্পদ ব্যবস্থাপনা) একটি টিমসহ গত ১৩ জুন সংশ্লিষ্ট বিল্ডিংয়ের ফ্ল্যাটগুলো পরিদর্শনে যান।


এই ভবনের নিচতলায় রিসেপশনিস্ট মেহরাব হোসেন অপির সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এ ফ্ল্যাটগুলোতে বসবাস করেন না। ভবনের ম্যানেজার জসিমকে ভবনে পাওয়া যায়নি। পরে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


পরিদর্শনকালে আরও জানা যায়, সংশ্লিষ্ট ভবনের ১৩ ও ১৪ তলায় ডুপ্লেক্স আকারে ৯ হাজার বর্গফুটের অধিক স্পেস নিয়ে ৪টি ফ্ল্যাট রয়েছে। ফ্ল্যাটগুলোর চাবি অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিকট রয়েছে। তবে বর্তমানে তিনি এ ভবনে বসবাস করেন না এবং কোথায় গেছেন তা কেউ বলতে পারেন না বলে রিসেপশনিস্ট জানান।


সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটগুলো রক্ষণাবেক্ষণ কাজে যেসব সার্ভিস চার্জ, ইলেকট্রিসিটি বিল, পানি ও গ্যাস বিল সহ অন্যান্য কিছু বিষয়ে আর্থিক খরচের বিষয়াদি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া প্রদান করতে হলে ওই ফ্ল্যাটগুলো খুলতে হবে এবং এর বাণিজ্যিক/আবাসিক ভাড়ার হার নিরূপণ করার জন্য গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে জায়গা পরিমাপ করা প্রয়োজন। এছাড়া ওই ফ্ল্যাট/ফ্ল্যাটগুলোর ভেতরে অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্রের একটি তালিকা। ইনভেন্ট্রি করার জন্য একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।


বিবার্তা/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com