রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া এবং এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে প্রকাশ করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন। নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুযায়ী মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে যোগ্য মনোনীত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী এম এ আজিজ খান জানান, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া এবং পরবর্তীতে গেজেট প্রকাশ করার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেছি।
এ আইনজীবী বলেন, রাষ্ট্রপতি বাছাই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হয়নি। যাচাই-বাছাই ঠিকমতো হলে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করা হতো না। কারণ মো. সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার ছিলেন। দুদক আইন ২০০৪-এর ৯ ধারা অনুসারে দুদকের সাবেক কমিশনার লাভজনক কোনো পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন না। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হয়নি।
এছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‘মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁকে নিয়োগ করা হয়নি।' তার এ বক্তব্য সঠিক নয়। এক্ষেত্রে নির্বাচন আর নিয়োগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এ কারণে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছি এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়েছি।
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচন প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি দাবি করে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী এম এ আজিজ খান।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এরপর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে তাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।
বিবার্তা/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]