সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেনের মৃত্যুতে তার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে সোমবার (২ জানয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ অর্ধদিবস বন্ধ রাখা হবে।

রবিবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে খন্দকার মাহবুবের জানাজার আগে এ ঘোষণা দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির চারবারের সভাপতি ও বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সোমবার কোর্টের দ্বিতীয়ার্ধে (দুপুর ১টার পর) বিচারকাজ বন্ধ থাকবে।

এদিকে হাজারো আইনজীবী ও বিচারপতির অংশগ্রহণে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অ্যাড. খন্দকার মাহবুবের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। তার প্রায় ৬০ বছরের প্রিয় কর্মস্থল থেকে অশ্রুজলে তাকে চিরবিদায় জানিয়েছেন সহকর্মীরা।

রবিবার বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী চত্বরে তার জানাজা সম্পন্ন হয়। নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি আবু জাফর।

জানাজায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, আপিল বিভাগের বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অংশগ্রহণ করেন।

জানাজার আগে খন্দকার মাহবুবের জীবনী পাঠ করে শোনান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক অ্যাড.আব্দুন নুর দুলাল।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় অ্যাড. খন্দকার মাহবুব মারা যান। তার ফুসফুসে হঠাৎ পানি আসায় গত ২৬ ডিসেম্বর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেওয়া হয়।

১৯৩৮ সালের ২০ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন অ্যাড. খন্দকার মাহবুব। তার পৈত্রিক বাড়ি বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায়। ১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি। ১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত।

বিবার্তা/রিয়াদ/এসএফ