শিরোনাম
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন গবেষণা, জ্ঞান সৃষ্টি ও উদ্ভাবনার ওপর জোর দিতে চাই’
প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০১৯, ২৩:০২
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন গবেষণা, জ্ঞান সৃষ্টি ও উদ্ভাবনার ওপর জোর দিতে চাই’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

[ড. মুহাম্মদ সামাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে অধ্যাপক ও পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অতিথি অধ্যাপক হিসেবে পড়িয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইনোনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। ২০০৯ সালে সমাজকর্ম শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ওয়াশিংটনস্থ সিএসডবি¬উই পরিচালিত ‘ক্যাথেরিন ক্যান্ডাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যাল ওয়ার্ক এডুকেশন’-এর ফেলো হিসেবে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকর্মের উচ্চশিক্ষার তুলনামূলক অবস্থার ওপর গবেষণা করেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এর উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের এই বিশিষ্ট কবি এবং ধীমান অধ্যাপক, উন্নয়ন-গবেষক ও সামাজিকবিজ্ঞানীর প্রধান গবেষণাক্ষেত্র গ্রামীণ দরিদ্র, আদিবাসী জনগোষ্ঠী, জনগণের অংশগ্রহণ ও এনজিও কার্যক্রম। চলতি মে মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে তার দায়িত্বপালন এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে তার অভিজ্ঞতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আমরা তার মুখোমুখি হয়েছিলাম। ]


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একশ বছরের দ্বারপ্রান্তে, এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি জানতে চাই।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্বপ্রাচীন ও সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথমত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে আমি গৌরবান্বিত বোধ করি। আজ একজন শিক্ষক ও দেশের কবি-সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে মানুষের যে ভালোবাসা পাই, সেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই অবদান। শতবর্ষপূর্তিরলগ্নে আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্বপালন পরম সৌভাগ্যের। এই শুভলগ্নে আমাকে দায়িত্বপালনের দুর্লভ সুযোগ করে দেয়ার জন্যে আমি বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই।


আপনি একজন খ্যাতিমান কবি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্বপালন প্রশাসনিক কাজ। কবি ও প্রশাসকের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব অনুভব করেন কি-না?


প্রথমেই বলব, এটি শিক্ষা প্রশাসন এবং পেশায় আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। আমি তো বাংলা ভাষার সামান্য একজন কবি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পূর্বে আমি বাংলাদেশের প্রথম আইটি-বেইজড বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এর ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে চার বছর দায়িত্বপালন করেছি। টিমওয়ার্কের মাধ্যমে অহোরাত্র পরিশ্রম করে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দুই গ্রেড উপরে তুলতে সমর্থ হয়েছিলাম। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ভারতবর্ষের বিশ্বনন্দিত বিশ্ববিদ্যালয়টি অর্থাৎ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়টিও কিন্তু ১৯২১ সালে বাংলা ভাষার প্রধানতম কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠা করেন। কবি ও প্রশাসক বিষয়ে আরো কিছু নাম উল্লেখ করি। যেমন কবি দান্তে তার কালে ইতালির অন্যতম প্রভাবশালী প্রশাসক ছিলেন; নয়াচীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সে তুং ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির প্রবক্তা কার্ল মার্কসের মহৎ কবিতা আমাদের মুগ্ধ করে; সেনেগালের রাষ্ট্রপতি লিও পোল্ড সেঙ্ঘর কবিতায় নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন; হিন্দি ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি অটলবিহারী বাজপেয়ি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে আমরা বলি ‘মুজিব আমার স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি’। এমনকি এখন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বলা হচ্ছে উন্নয়নের কবি।


আপনার দায়িত্বপালনের এক বছর পূর্ণ হলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্বপালন করে আপনার উপলব্ধি কী?


আমি আগেই বলেছি, এই দায়িত্বে আসার আগে আমি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। বাংলাদেশসহ সব দেশেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উপাচার্যকেন্দ্রিক। বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩ অনুসারে দেশের চারটি যথা ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের অবারিত মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে উপাচার্যের ক্ষমতা সীমাহীন আর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরসহ অন্য পদগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে উপাচার্য বিদ্যায়, বিনয়ে, প্রজ্ঞায় ও নেতৃত্বে স্বপ্নবান এবং টিমওয়ার্কে বিশ্বাসী হলে সিনেট, সিন্ডিকেট, একাডেমিক পরিষদসহ সামগ্রিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরগণের সহযোগী ভূমিকা কার্যকর ও ফলপ্রসূ হবে।


আমরা দীর্ঘ দিন ধরে লক্ষ করছি যে, পঠন-পাঠন গবেষণা ও উদ্ভাবনার চাইতে উপাচার্যদের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়কে শান্ত রাখাটাই ক্ষমতসীন দল বা সরকারগুলোর কাছে অগ্রাধিকার পায়। উপাচার্যরাও এটাকে নিজেদের কৃতিত্ব বলে মনে করেন। আর ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের ছাত্র সংগঠন দিয়ে ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়াস পেয়েছে। এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন?


প্রশ্নটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এই অবস্থা দীর্ঘ সামরিক দুঃশাসন ও অপ্রয়োজনীয় দলীয়করণের পরিণতি। তৎকালীন পাকিস্তান আমলে আইয়ুব-মোনায়েম খানের শাসনামলে এই অপপ্রবণতা শুরু হয়। কিন্তু বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, বাঙালির বাঁচার দাবি বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা এবং তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারারুদ্ধ প্রিয় নেতা শেখ মুজিবকে মুক্ত করার লক্ষ্যে পূর্ব বাংলার ছাত্র সমাজের রক্তঝরা আন্দোলনের জোয়ারে সেই সময়ের সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন এনএসএফ-এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় নাই। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতার স্থপতিকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে যে সামরিক স্বৈরশাসন এবং ক্যু-পাল্টা-ক্যু অপরাজনীতির যাত্রা শুরু হয় তারই পরিণতি হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের ছাত্র সংগঠন দিয়ে ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণে রাখার অপপ্রয়াস। আর, পঠন-পাঠন গবেষণা ও উদ্ভাবনার চাইতে উপাচার্যদের সহায়তায় ক্ষমতাসীনদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়কে শান্ত রাখার কৌশলের বিষয়ে অবিদ্যাধর ও পদপ্রত্যাশীদের আত্মসমর্পন বৈ কি বলতে পারি?


এখন তো সামরিক শাসন নেই। ডাকসু নির্বাচন হয়ে গেল। সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্যদের ভূমিকার তেমন কোনো হেরফের তো দেখছি না?


দেখুন, আমি প্রায়ই একটা কথা বলি, আজকাল মানুষ সৎ না হয়ে স্বচ্ছল হচ্ছে; জ্ঞানী বা প্রজ্ঞাবান না হয়ে ধূর্ত হচ্ছে আর হৃদয়বান না হয়ে বিশিষ্ট হচ্ছে। সম্পদের লোভ আমাদের নৈতিকতাকে ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে। সরকার হয় তো ভাবেও নাই কিংবা লজ্জা পাচ্ছে এমন কাজ করে বসছেন কিছু উপাচার্য। অন্যদিকে তাৎক্ষণিক স্বার্থ নয়, অকৃত্রিম দেশপ্রেম চাই। ছাত্রদের জ্ঞানের প্রতি, ন্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে; শ্রমিক-কৃষক, গরীব মেহনতি মানুষের প্রতি আরো ভালোবাসা ও মমত্ববোধ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। চোখের সামনেই গণজাগরণ মঞ্চের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তবে অভিজ্ঞতা বলে স্বার্থান্বেষী মহল সম্পর্কে তাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমার ক্ষুদ্র বিবেচনায় বলে, ছাত্র সংগঠন দিয়ে ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকারের নেই।


আপনাদের সমাবর্তনে সান্ধ্যকালীন ডিগ্রি দেয়া নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সার্টিফিকেট বিক্রির সমালোচনা করেছেন, এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য জানতে চাই।


মহামান্য রাষ্ট্রপতির উচ্চশিক্ষার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও অসামান্য দূরদৃষ্টিকে আমি সশ্রদ্ধ অভিবাদন জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলধারার অর্থাৎ দিনের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। ডাকসু নির্বাচনে সব প্যানেল তাদের ইশতেহারে সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধের অঙ্গীকার করেছিল। নানা রকমের সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ না নিলে জনগণের করের টাকায় পরিচালিত আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নতুন নতুন গবেষণা ও জ্ঞান তৈরি, আবিস্কার-উদ্ভাবন এমনকি দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির ক্ষেত্রেও বন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে। কাজেই, রক্তমূল্যেকেনা প্রিয় বাংলাদেশকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন গবেষণা, জ্ঞান সৃষ্টি এবং উদ্ভাবনার ওপর জোর দিতে চাই।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে গবেষণা খাত তো খুবই অবহেলিত। পর্যাপ্ত তহবিল না পেলে কীভাবে কাজ করবেন?


এই কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, আমাদের বার্ষিক বাজেটে গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দ কম। যেমন, চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে ২০১৮ সালে নিজেদের উদ্ভাবনে ব্যয় করেছে ১ লাখ ২৯ হাজার কোটি টাকা, বাংলাদেশের মোট শিক্ষা বাজেটের দ্বিগুণ। তবে বড় জনসংখ্যার বাংলাদেশ ও বিশ্বের চাহিদার নিরিখে নতুন গবেষণা প্রকল্পে তহবিল যোগানে সরকার ও বহু আন্তর্জাতিক সংস্থার আগ্রহ আছে। আশার কথা, এই বিষয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নিরন্তর তাগিদ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উদ্ভাবনের জন্য তরুণদের আহ্বান জানাচ্ছেন, অনুপ্রাণিত করছেন। ফলে, মহাশূণ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কার্যক্রম থেকে শুরু করে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা এখন প্রান্তিক কৃষকসহ সকল নাগরিক ভোগ করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন নতুন বিভাগ যেমন, রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রোনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে নতুন গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। গবেষণার ক্ষেত্রে আরও আশার খবর হচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্যে এই বছর থেকে বঙ্গবন্ধু ওভারসিজ স্কলারশিপ চালু হয়েছে। এই স্কলারশিপের আওতায় আমাদের শিক্ষকরা বিশ্বের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ পাবেন। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান বাড়বে এবং দেশের উন্নয়নে তা কাজে লাগবে।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে এক বছরের অভিজ্ঞতায় আপনার দৃষ্টিতে প্রধান সমস্য কী কী?


আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে সব প্রতিষ্ঠানেই অনেক সমস্যা; একটা থেকে আরেকটাকে আলাদা করা সহজ নয়। আমার এক বছরের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, এক. প্রশাসনিক ব্যবস্থার দুর্বলতা ও টিমওয়ার্কের অভাব, দুই. শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট ও একাডেমিক ভবনে জায়গার অভাব; তিন. সান্ধ্যকালীন কোর্সের সহজ আয়ের কারণে গবেষণায় অনাগ্রহ, উন্নত দেশে থেকে পিএইচডি বা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনে এবং লেখালেখিতে দু-একটি অনুষদ ও ইনস্টিটিউটটের শিক্ষকদের অনীহা; চার. আরবি, ফারসি, উর্দূ, সংস্কৃত, পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ মূল ভাষার বদলে বাংলা ভাষায় পড়াশোনা করে; এবং পাঁচ. অপরিকল্পিত বিভাগ/ইনস্টিটিউট খোলা এবং বিভিন্ন বিভাগ/ইনস্টিটিউট থেকে একই বিষয়ে ডিগ্রি প্রদান।


এসব থেকে উত্তরণের উপায় কী?


এসব থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হলো সমবায়িক উদার দৃষ্টিভঙ্গি, স্বপময় ও সাহসী উদ্যোগ। আপনার খেয়াল রাখতে হবে যে, আমি তহবিল সংকটের কথা একবারও উচ্চারণ করি নাই। কারণ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সকল সদস্য, দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সকলেরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি বিশেষ পক্ষপাত রয়েছে।


বিবার্তা/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com