শিরোনাম
যারা ইংরেজিতে দুর্বল তাদের জন্যই সার্চ ইংলিশ : রাজীব
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ১৭:৪৩
যারা ইংরেজিতে দুর্বল তাদের জন্যই সার্চ ইংলিশ :  রাজীব
উজ্জ্বল এ গমেজ
প্রিন্ট অ-অ+

নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা করেন রাজীব আহমেদ। পেশা হিসেবে বেছে নেন শিক্ষকতা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন প্রায় তিন বছর। এরপর ২০০২ সালে শিক্ষকতা ছেড়ে অনলাইনভিত্তিক কাজ করা শুরু করেন। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সার লেখক হিসেবে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রযুক্তিসহ নানা বিষয়ে লিখতেন।


২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক একটি ব্লগ মিডিয়ায় প্রফেশনাল লেখক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর দেশে অনলাইনে কেনাকাটার খাত ই-কমার্সের উন্নয়নে দিকে মনোযোগ দেন। খাত সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের নিয়ে গঠন করেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। প্রতিষ্ঠাতাস-সভাপতি হিসেবে খাতটিকে জনপ্রিয় করার পাশাপাশি উন্নয়নে নেতৃত্ব দেন দীর্ঘ সময়। বর্তমানে তাঁর একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান ‘সার্চ ইংলিশ’ গ্রুপ নিয়েই।


গত ফেব্রুয়ারিতে ফেসবুক কমিউনিটি লিডার প্রোগ্রাম শুরুর ঘোষণা দেয়ার পর অনলাইনে সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ছয় হাজার আবেদন জমা পড়ে। সেখান থেকে বাছাই করে সেপ্টেম্বর মাসে প্রথমবারের মতো ‘রেসিডেন্স’, ‘ফেলো’, ‘ইয়ুথ’ - এ তিন বিভাগে ৪৬টি দেশের ১১৫ জনকে কমিউনিটি লিডার নির্বাচন করে ফেসবুক। সম্মানজনক এ তালিকায় ‘ফেলো’ হয়েছেন বাংলাদেশের সার্চ ইংলিশ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রাজীব আহমেদ।


ফেসবুকের কমিউনিটি লিডার হিসেবে ৫০,০০০ ডলার পুরস্কার পেয়েছেন রাজীব আহমেদ। অক্টোবরে ফেসবুকের প্রধান কার্যালয়েও যান তিনি। সেখানে ৪৬টি দেশের প্রতিনিধিদের সাথে এক সপ্তাহ থেকে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছেন।


‘সার্চ ইংলিশ’গ্রুপে ইংরেজি শিক্ষার প্রসারে অবদান রাখায় তাঁর এ অর্জন। গ্রুপটির বর্তমান সদস্যসংখ্যা ১৬ লাখ ৭৫ হাজারের মতো। এর মধ্যে সাড়ে ১২ লাখ সদস্য বাংলাদেশের, ১ লাখ ৩০ হাজার ভারতের এবং বাকিরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের।


গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ‘সার্চ ইংলিশ’ গ্রুপের কার্যালয়ে বসে রাজীব আহমেদ কথা বলেন বিবার্তার সঙ্গে। একান্ত আলাপে জানান সার্চ ইংলিশ গ্রুপের আদ্যোপান্ত।



বিবার্তা : সার্চ ইংলিশ গ্রুপের শুরুর গল্পটা দিয়েই আমাদের আলাপ শুরু হোক।


রাজীব আহমেদ : আমাদের দেশে প্রায়ই দেখা যায় ইংরেজিতে দুর্বল থাকার কারণে গ্র্যাজুয়েটরা চাকরি পাচ্ছেন না। অনেক ছাত্র-ছাত্রী সর্বোচ্চ চেষ্টার পরেও এসএসসি ও এইচএসসিতে ইংরেজিতে ফেল করছে। আমি তাদের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম। ঢাকা ইউনিভার্সিটির ইংলিশ বিভাগে পাস করার পর থেকেই আমি চিন্তা করতাম এমন একটি প্লাটফর্ম তৈরি করার, যেখানে মানুষ ইংরেজি শিখবে। প্রথম পর্যায়ে আমরা বাংলাদেশিদের ইংলিশে দুর্বলতার কারণ খুঁজে ব্যর্থ হই। এরপর আমরা অনুসন্ধান করে বুঝতে পারি যে তাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে ভয় ও লজ্জা, যার জন্য তারা ইংরেজিতে ভালো করে কথা বলতে ও লিখতে পারে না।


২০১৪ সালে আমরা ই-ক্যাব চালু করি, যার মাধ্যমে আমাদের দেশে অনলাইন ব্যবসা শুরু হয়। ই-ক্যাবের সভাপতি হওয়ার জন্য আমাকে ফেসবুক পেজ দেখাশুনা করতে হতো। আর সেটিই আমাকে অনুপ্রাণিত করে ইংরেজি শেখানোর এমন একটি গ্রুপের পেজ চালু করতে। অবশেষে আমি ২০১৬ সালের ১ জুলাই ফেসবুকে সার্চ ইংলিশ গ্রুপ চালু করি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল - ‘ইংরেজি শেখো, জীবনকে পরিবর্তন করো’।


বিবার্তা : অনলাইনে ইংলিশ শেখানোর মাধ্যম হিসেবে ইউটিউবকে বেছে নিলেন না কেন?


রাজীব আহমেদ : শুরু থেকেই সার্চ ইংলিশ-এর লক্ষ্য হচ্ছে সবাইকে ইংরেজি শেখার সুযোগ করে দেয়া। সাধারণ মানুষ, ছাত্রছাত্রী, চাকরিপ্রার্থী, চাকরীজীবী, ফ্রিল্যান্সার বিশেষ করে যারা গ্রাম থেকে আসে, ইংলিশে দুর্বল - তাদেরকে শিক্ষার সুযোগ করে দেয়া। এ কাজটাকে সফল করে তুলতে আমার মনে হয়েছে ফেসবুকই সবচেয়ে সহজ মাধ্যম। ফেসবুকের সহায়তার কারণে আমরা সহজেই গ্রামের মানুষদের কাছে পৌঁছাতে পারবো। আর পারছিও। অন্যদিকে ইউটিউবে একটা ভিডিও দেখতে প্রায় ৫০০ মেগাবাইট ড্যাটা খরচ হয়। এখন ঢাকার মধ্যে ইন্টারনেট, ওয়াইফাই সবই সহজে পাওয়া যাচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে তো এখনও অনেক জায়গায় ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছেনি। একটা আধা ঘণ্টার ভিডিও দেখতে অনেক টাকা খরচ হচ্ছে। এভাবে তো আর ইউটিউবে ভিডিও দেখে কিছু শেখা গ্রামের মানুষদের পক্ষে সম্ভব না। ইউটিউবের আরেকটা সমস্যা হচ্ছে এটা একমুখী। আমি একটা ভিডিও দেবো, এটা মানুষ শুধু দেখবে আর টুকটাক কমেন্ট করবে। আর ফেসবুক হলো বহুমুখী। এখানে সবাই পোস্ট করে, কমেন্ট করে, লাইক দিয়ে, ছবি শেয়ার করে, ভিডিও লাইভে কথা বলে অংশগ্রহণ করতে পারছে। ফেসবুক ব্যবহার করতে বেশি টাকার দরকার হয় না। এখন তো প্রায় সবাই ফেসবুক ব্যবহার করে। তাহলে তিনটা কারণে ইউটিউবকে বেছে নিইনি - একটা হলো ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট সমস্যা, ফেসবুক অনেক সহজ, ফেসবুকে সবাই অংশগ্রহণ করতে পারে।



বিবার্তা : কাদের জন্য এই গ্রুপ?


রাজীব আহমেদ : যারা ঢাকার নামিদামী স্কুল-কলেজে পড়াশুনা করছেন, যারা ইংরেজি পারেন, এই গ্রুপ তাদের জন্য না। তাদের জন্য স্কুল, কলেজ, কোচিং সেন্টার সবকিছু আছে। সার্চ ইংলিশ কেবল দুর্বল ছাত্রদের জন্য, যারা পারে না তাদের জন্য গ্রুপ। এখানে আমরা মনের আনন্দে প্র্যাকটিস করি এবং এগিয়ে যাই। এটি আমাদের ঘরবাড়ি, এটিই আমাদের রাজ্য আর রাজত্ব। ভালো ছাত্রদের কদর সবখানেই, কিন্তু সার্চ ইংলিশে কদর খারাপ ছাত্রদের। সব জায়গার মানুষ, যাদের ইংরেজি শেখার ইচ্ছা আছে, তারা সবাই এতে জয়েন হতে পারবেন।


বিবার্তা : এই গ্রুপের কার্যক্রম সম্পর্কে বলুন।


রাজীব আহমেদ : এটা এমন একটা প্লাটফর্ম, যেখানে ছাত্রছাত্রীরা নিজে নিজেই শিখে। সব সদস্য এখানে পোস্ট করেন। যারা নতুন তারা প্রথমে দেখেন, লাইক দেন, কমেন্ট করেন। ৩০ দিন দেখে পরে নিজের দুর্বলতাগুলো আস্তে আস্তে বুঝতে চেষ্টা করেন। এরপরে নিজে নিজে প্রতিদিনকার ঘটে যাওয়া অভিজ্ঞতাগুলো ছোট ছোট পোস্টে শেয়ার করেন। এভাবে আস্তে আস্তে সাহস বাড়তে থাকে তাদের। এক সময় সবলদের পোস্ট পড়তে পড়তে নিজের ভুলগুলো শুধরে নেন। এখানে কে ক'টা বানান বা গ্রামার ভুল করল সেটা দেখা হয় না। ইংরেজিতে মনেভাবটা প্রকাশ করার বিষয়টাতেই জোর দেয়া হয়। আর পোস্টে সবাই কমেন্ট করে উৎসাহ যুগিয়ে থাকেন। আমি শুধু মেন্টরিং করে থাকি। এছাড়াও মাঝে মাঝে ওয়ার্কশপের আয়োজন করি। অনলাইনে প্রতিদিন আড্ডা হয়। সেখানে সবাই নিজের ভাষায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এভাবে সবাই সমৃদ্ধ হতে থাকেন। এখন নিয়মিত অনেকেই ফেসবুকে লাইভ করছেন। প্রতিদিন প্রায় ৩০০ লাইভ ভিডিও আসছে। প্রতিদিন গ্রুপে আড়াই লক্ষ লোক যোগ দেন। ৫০০+ পোস্ট, ২০,০০০ এর মত কমেন্ট আর ১ লাখের ম্তো লাইক আসে।


বিবার্তা : তাহলে বলা যায় সার্চ ইংলিশ প্রশিক্ষণটি একটু ব্যতিক্রম. . .


রাজীব আহমেদ : এই প্ল্যাটফর্মে সবাই ইংরেজি শিখতে পারেন। তবে ইংরেজি শেখার গতানুগতিক কোচিং সেন্টার থেকে গ্রুপটির কার্যক্রম একেবারেই আলাদা। দেশ-বিদেশের যেকোনো ব্যক্তি গ্রুপটিতে যুক্ত হয়ে বিনামূল্যে ইংরেজি শিখতে পারেন। এখানে ইংরেজিতে লেখা আর্টিকল পড়ারও সুযোগ রয়েছে। সদস্যদের ইংরেজিতে কথা বলা, লেখা ও শোনার দক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন কনটেন্টও প্রকাশ করা হয়। বেশ কিছু পেইড অনলাইন লাইভ ক্লাসও রয়েছে গ্রুপটিতে। সার্চ ইংলিশের ওয়েবসাইটে https://searchenglish.com/ ঢুঁ মারলেই জানা যাবে খুঁটিনাটি তথ্য।



বিবার্তা : এই কার্যক্রমের সাথে কে কে জড়িত রয়েছেন?


রাজীব আহমেদ : ‘সার্চ ইংলিশ’ একটা লিমিটেড প্রতিষ্ঠান। এখানে আমি ইংরেজি বিষয়টা দেখছি। কারিগরি বিষয় দেখেন নেয়ামত উল্যাহ মহান ও আবুল খায়ের। সার্চ ইংলিশের নানা বিষয়ে গবেষণা করেন এস এম মেহেদী হাসান। বেতনভুক্ত ও ভলেন্টিয়ারসহ মোট ১৫ জনের টিম এই গ্রুপে কাজ করছেন।


বিবার্তা : এই কাজ করতে গিয়ে নিশ্চয়ই অনেক অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতা হয়েছে।


রাজীব আহমেদ : ফেসবুক গ্রুপ খুলে ইংরেজি শেখানোর শুরুর সময় অনেকেই আমাকে নিয়ে হাসি-তামাশা করত। অনেকে বলত আমি নাকি ভুলভাবে মানুষকে গাইড করছি। কিছু লোক আমাকে ধান্দাবাজ বা অন্য গালিও দিয়েছেন। কারণ খুব সোজা। আমি কষ্ট করে দিনের পর দিন লেগে থেকে এমন একটি প্লাটফর্ম করেছি যাতে মানুষ উপকৃত বা লাভবান হয় এবং বিনামূল্যেই হয়। যারা গালি দেয়, ফালতু কথা বলে, হিংসা করে তারা এমন কিছু করতে পারেন না। মাসের পর মাস চেষ্টা আর বছরের পর বছর রিসার্চ করে না ঘুমিয়ে লেগে থাকার সাথে পারতে হলে আমার থেকেও বেশি কষ্ট করতে হবে - এটিই তারা বুঝতে চান না। তবে বিষয়গুলো শুধু নিরবে দেখেছি। আমি সৎকাজ করছি, সেটি আমি জানি এবং আমার কাজে কারো ক্ষতি হচ্ছে না। তাই কে কী বলল তা নিয়ে আমি ভাবিনি, সামনে এগিয়ে গিয়েছি।


বিবার্তা : ই-লার্নিংয়ের ভবিষ্যৎ কেমন দেখছেন?


রাজীব আহমেদ : প্রচলিত পদ্ধতিতে লেখাপড়ার সাথে সম্পর্ক মাস্টার্সের সার্টিফিকেট পেলেই শেষ হয়ে যায়। যা পারলেন না, যা ফাঁকি দিয়েছেন, যা শিখেননি তা আর শেখার সুযোগ নেই। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য শিক্ষার সুযোগ আর নেই তেমন। এখানেই অনলাইন এডুকেশনের দরকার। তাই ই-লার্নিংএর ভবিষ্যৎ আমার কাছে অনেক উজ্জ্বল মনে হয়। সার্চ ইংলিশ আর ডিজিটাল স্কিলস দিয়ে বুঝতে পারছি প্রতিদিন যে বেশিরভাগ মানুষের দরকার সামনে এগিয়ে যাবার জন্য আরো শিক্ষা, তথ্য, প্রশিক্ষণ। যারা এটি পাবে তারা একটু একটু করে প্রতিদিন এগিয়ে যাবে।



বিবার্তা : সার্চ ইংলিশ গ্রুপকে ফেসবুক কমিউনিটি লিডারশিপ প্রোগ্রামে নির্বাচিত করার কারণ কী বলে মনে করেন?


রাজীব আহমেদ : আমার কাজগুলোকে বুঝতে পারার জন্যে আমি ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের গ্রুপ সদস্যদের প্রতিনিয়ত সফল করছে তাই তারা সার্চ ইংলিশকে নির্বাচিত করেছে। প্রতিদিন আমাদের গ্রুপে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ লগইন করছে। আমাদের গ্রুপের মেম্বাররা সবগুলো গ্রুপ প্রোগ্রামেই অংশগ্রহণ করছে। আমাদের গ্রুপকে পর্যালোচনা করার পর ফেসবুক ব্যবস্থাপনা আমাকে তাদের প্রোগ্রামের বাংলদেশ কমিটি লিডার করে।


বিবার্তা : এই গ্রুপের অর্জনগুলো একটু জানতে চাই।


রাজীব আহমেদ : নিশা জাহানের বদলে যাওয়া জীবনের মতো সার্চ ইংলিশের ছোট ছোট সাফল্যগাথা নিয়ে গত বছরের অক্টোবরে ফেসবুকের বিজনেস পেজে ফিচার ও ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রকাশ করা হয়। https://www.facebook.com/marketingAPAC/videos/10212286015797792/ ঠিকানায় ঢুঁ মারলেই দেখা যাবে ফিচার ও ভিডিও ডকুমেন্টারিটি। পাশাপাশি চলতি বছরের মে মাসে ‘সোশ্যাল মিডিয়া ফর এম্পাওয়ারমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৮’-এর কমিউনিটি মোবিলাইজেশন বিভাগে পুরস্কার জিতেছে সার্চ ইংলিশ। জিপি অ্যাক্সেলেটরের পঞ্চম ব্যাচের গ্র্যাজুয়েট স্টার্টআপের স্বীকৃতি পাওয়ার পাশাপাশি স্টার্টআপ বাংলাদেশ প্রকল্প থেকে ফান্ডও পেয়েছে। ৩ অক্টোবর নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এমবিলিয়নথ এশিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৮তে লার্নিং অ্যান্ড এডুকেশন ক্যাটাগরিতে সার্চ ইংলিশ মনোনয়ন লাভ করেছে।


বিবার্তা : সার্চ ইংলিশ নিয়ে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?


রাজীব আহমেদ :ইংরেজি ভাষা অনুশীলনের এই প্ল্যাটফর্মটিকে ঢাকার বাইরের জেলা, উপজেলা ও গ্রামপর্যায়ের মানুষের কাছে পৌঁছাতে চাই। ইতোমধ্যেই বিশ্বের কয়েকটি দেশের সদস্য রয়েছে এ গ্রুপে। আগামী বছরে ভারতে কার্যক্রমটাকে অফিসিয়ালি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। আস্তে আস্তে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে চাই। পাশাপাশি কেন আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা ইংরেজি পরীক্ষায় খারাপ করে, তা নিয়ে ভবিষ্যতে আরো গবেষণা করার ইচ্ছা আছে। সে অনুযায়ী সার্চ ইংলিশে শেখানো পদ্ধতির আরো উন্নয়ন করা হবে। ফেসবুকের এই প্রোগ্রামে নির্বাচিত হওয়ার ফলে আমাদের কাজ আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল। এছাড়াও আমি বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সার ও আইটি বিশেষজ্ঞদের উদ্দেশে বলতে চাই, ইংলিশে ভালো জ্ঞান ভালো চাকরি পেতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশ গার্মেন্টস শিল্পের সাথে আমার কাজ করার ইচ্ছা আছে, যাতে করে তারা তাদের কর্মীদেরকেও ইংরেজি শিক্ষা দিতে পারে। এখানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রি ও তা নিয়ে আলোচনা করতে হয়। আর তাদের সাথে যোগাযোগ করার একমাত্র মাধ্যম ইংলিশ।


বিবার্তা/উজ্জ্বল/হুমায়ুন/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com