শিরোনাম
আইটিতে মেয়েদের অংশগ্রহণ কম, তাদের প্রণোদনা দিতে হবে
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:১৪
আইটিতে মেয়েদের অংশগ্রহণ কম, তাদের প্রণোদনা দিতে হবে
বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, এনডিসি
উজ্জ্বল এ গমেজ
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব পেলেন হোসনে আরা বেগম, এনডিসি। এর আগে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে তিনি বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ অবসরোত্তর ছুটিতে যান তিনি। এরপর তাকে প্রথমবারের মতো দুই বছরের মেয়াদ বাড়িয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। গত জুন মাসের শুরুতে দ্বিতীয়বার মেয়াদ বাড়িয়ে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়।


সম্প্রতি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারের বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে বিবার্তার মুখোমুখি হন হোসনে আরা বেগম। দীর্ঘ আলাপে জানালেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম, সারা দেশে নির্মাণাধীন ২৮টি হাইটেক পার্কের শেষ অবস্থাসহ (দুটিতে কার্যক্রম শুরু) আইটিতে নারী উদ্যোক্তাদের অবস্থান নিয়ে নানা কথা। আলাপের কিছু অংশ বিবার্তার পাঠকদের জন্য এখানে তুলে ধরা হলো।


বিবার্তা : আপনার দ্বিতীয় মেয়াদের কার্যক্রমকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?


হোসনে আরা বেগম : মাত্র আড়াই মাস আগে আমি দ্বিতীয় মেয়াদের দায়িত্ব নিয়েছি। দায়িত্ব নেয়ার পরই দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে ও বিনিয়োগে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সাথে জাপানের ফুজিৎসু কোম্পানির একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ সমঝোতার মাধ্যমে তারা হাই-টেক পার্কে ইনভেস্টমেন্ট করতে পারবে। ফুজিৎসু আমাদের তরুণ-তরুণীদের হাইস্কিল ট্রেনিংয়ের জন্য কাজ করবে। আমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে কাজ করছি। আর এ বিপ্লবে অংশগ্রহণ করতে আমাদের তরুণ-তরুণীদের হাইস্কিল ট্রেনিং প্রয়োজন।


এরই মধ্যে আমরা ৯৭ একর জমিতে বেশ কয়েকজন বিনিয়োগকারীকে জমি বরাদ্দ দিয়েছি। এদের মধ্যে সামস্যাং, সিম্ফনি এবং জেআর এন্টারপ্রাইস কথা দিয়েছে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি বা শেষদিকে তাদের নির্মাণ কাজ শুরু করবে। এরপর গাজীপুরের কালিয়াকৈরে স্থাপিত হাইটেক পার্ক বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে চায়নাভিত্তিক মেসিন কোম্পানি ওরেক্সকে সামিটের মাধ্যমে জমি বরাদ্দ দিয়েছি। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে ২০২১ সালের মধ্যে তারা তাদের নির্মাণ কাজ শেষ করবে। তারা বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে প্রথম বায়ো-টেকনোলজিক্যাল কার্যক্রম শুরু করবে।


দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে আমরা সারা দেশের ৩ হাজার ১০০ জন তরুণ-তরুণীকে আইটিতে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। শিগগিরই আরো ২ হাজার ১০০ জনের জন্য এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করা হবে। আমাদের টার্গেট ১৫ হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেয়া। আশার কথা হলো, এ ট্রেনিংয়ে ইতোমধ্যেই আমাদের ৪০ শতাংশ তরুণ-তরুণী আয় করতে শুরু করেছে।


বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তিনটি প্রোডাক্ট বাজারে ছাড়ার জন্য শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এগুলো হলো- ক্যানন, বাংলা ট্রনিক্স এবং নিউ আইসিটি। এ তিনটি প্রোডাক্ট ক্যাবল তৈরি এবং মোবাইল অ্যাসেম্বলিংয়ের কাজ করবে। কয়েকটি দফতরের অনুমোদন বাকি আছে। সেটা পেলেই অল্প কিছুদিনের মধ্যেই প্রোডাক্টগুলো বাজারে চলে আসবে বলে আশা করছি।



ভারতীয় হাই কমিশনারের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ও হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক


বিবার্তা : বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম সম্পর্কে বলুন।


হোসনে আরা বেগম : বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ একটা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে মানবসম্পদ উন্নয়ন, আইটি প্রোমশন, সেই সাথে আমাদের দেশের বেকারত্ব দূর করার জন্য। দেশের ৬৫ শতাংশ তরুণ-তরুণীর বয়স ৩৫ বছরের নিচে। আমাদের সরকার চায় এ তরুণ সমাজ আইটি এবং আইটিএস সম্পর্কিত কাজের সাথে জড়িত হোক। কেননা, সারা পৃথিবী এখন আইটি নিয়ে কাজ করছে। শুধু অনলাইন সেবাগুলো তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার কাজ করে আজ উন্নত দেশগুলো উন্নতির শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে। ঠিক একই ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের হাইটেক পার্কের কার্যক্রম শুরু করেছি।


আমাদের সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য চারটি মূল স্তম্ভ সামনে রেখে কাজ করছে। এগুলোর মধ্যে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অবকাঠামোর উন্নয়ন- এ দুটিই আমাদের হাইটেক পার্কের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। একই সঙ্গে আমরা আইটি ও আইটিএসকেও প্রোমশন করছি। হাইটেক পার্ক অথরিটি দেশের স্টার্ট-আপদের তাদের কাজ এগিয়ে নিতে প্রণোদনা দেয়ার কাজ করে থাকে। একই সাথে স্টার্ট-আপরা যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে তাদের আইডিয়া ব্যবহার করে নতুন নতুন উদ্ভাবন করতে পারে এজন্য সারা দেশের প্রত্যেকটি হাইটেক পার্কে একটি করে ফ্লোর ফ্রি করে দিয়েছি। ইন্টারনেট ব্যবহার করে সব ধরনের উদ্ভাবনী কাজ করার জন্য ফ্রি ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থাও করে দেয়া হয়েছে। বিশ্বের অন্য স্টার্ট-আপদের দেখে প্রণোদিত হতে বিভিন্ন সময় তাদের দেশের বাইরেও পাঠানো হচ্ছে। গত দুই বছর ধরে জনতা টাওয়ারে ১০টা স্টার্ট-আপ এভাবে তাদের উদ্ভাবনী কাজ করে আসছে। এখন তারা মার্কেটে তাদের প্রডাক্ট সেল করতে পারছে।


এটা হাইটেক পার্কের একটা বড় কাজ। এর মধ্য দিয়ে ছোট ছোট সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তারা অত্যন্ত সাহসীকতার সাথে এগিয়ে আসছে। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা, গাইডিং করা, মেন্টরিং করা, মার্কেটিং করা কাজগুলো আমরা হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ করে যাচ্ছি। এসব কাজে সব পার্কের জন্য দেশি-বিদেশি যত ইনভেস্টর আছে আমরা তাদের বিভিন্নভাবে প্রণোদনা দিচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ঘোষণা দিয়েছিলেন ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৪১ সালে এটা হবে উন্নততর দেশ, সে লক্ষ্যেই আইসিটি ডিভিশনের সাথে এক হয়ে আমরা হাইটেক পার্ক অথরিটি কাজ করছি।



ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে সিম্পোজিয়াম অন ইমার্জিং টেকনোলজিস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক


বিবার্তা : সারাদেশের নির্মাণাধীন ২৮টি হাইটেক পার্কের বর্তমান অবস্থা জানতে চাই।


হোসনে আরা বেগম : সারাদেশের ২৮টি জেলায় নির্মাণাধীন হাইটেক পার্কের মধ্যে এখন পর্যন্ত দুটিতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি হাইটেক পার্ক ইন্ডিয়ান ব্যাংক অব ক্রেডিটের অর্থায়নে হবে। কাজেই সেটার পারমিশনগুলো ইন্ডিয়ান এক্সিম ব্যাংক থেকে হতে হয়। এ কাজটায় আমরা এখনো পিছিয়ে আছি। কেননা, তাদের অনুমোদনটা পাইনি। পার্কগুলোর সব টেন্ডার ডকুমেন্ট তাদের কাছে পাঠানো আছে। ইন্ডিয়ান এক্সিম ব্যাংকের সাথে কথা হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই এ অনুমোদনটা পাব। পেলে আমরা টেন্ডারে যাব। তখন এ ১২টি পার্কের কার্যক্রমও শুরু করতে পারব।


১৬টি হাইটেক পার্কের নির্মাণ কাজ বেশ সন্তোষজনক পর্যায় রয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ইতোমধ্যেই ৫৩টি আইটি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম শুরু করেছে। জনতা টাওয়ারে ১৮টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা রেভিনিউ ইনকাম এবং এমপ্লয়মেন্ট জেনারেট করতে পারছি।


শুধু চট্টগ্রাম ছাড়া অন্যগুলো, যেমন শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। রাজশাহীতে দুই লাখ স্কয়ার ফিটের দুটি স্থাপনার কাজ চলছে। একটি পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের কাজ প্রায় শেষদিকে। এখন ইন্টেরিয়র ডেকরেশনের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সেখানে কার্যক্রম শুরু করা যাবে। একইভাবে সিলেটেও তিনতলা বিল্ডিংয়ের একটা কাজ চলছে। আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যে এটিওর কার্যক্রম চালু করা যাবে।



কারওয়ান বাজারের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে সিসটেকের স্মার্ট অফিস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারসহ অন্যদের সাথে হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক


বিবার্তা : হাইটেক পার্কগুলো তরুণদের কর্মসংস্থান বিকাশে কতটুকু ভূমিকা রাখবে?


হোসনে আরা বেগম : সারাদেশে পার্কগুলো যখন চালু হবে তখন বিপুলসংখ্যক তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। আশার কথা হলো, গত সপ্তাহে যখন যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের প্রোগ্রামে গিয়েছি তখন জেনেছি সেখানে প্রায় ১ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। নাটোরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারেও প্রায় সাড়ে নয়শ তরুণ-তরুণী কাজ করছে। জনতা টাওয়ারে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে প্রায় ১ হাজার তরুণ-তরুণী কাজ করছে। কালিয়াকৈরে স্থাপিত হাইটেক পার্ক বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে আমাদের যে প্রোডাক্ট চালু হতে যাচ্ছে সেখানেও দুই-আড়াইশ তরুণ-তরুণী কাজ করতে পারবে। রাজশাহীতে প্রায় ১৫ হাজার জনের কাজের সুযোগ হবে। আশা করছি, আগামী ৫ বছরের মধ্যে ৩০-৪০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়ে যাবে।


বিবার্তা : বর্তমানে আইটিতে নারীর অংশগ্রহণ কেমন?


হোসনে আরা বেগম : প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলেন প্রত্যেকটি জায়গায় নারীদের ৩০ ভাগ সুযোগ দিতে হবে। দুঃখের বিষয়- আইটিতে মেয়েদের অংশগ্রহণ খুব কম। তারা কল সেন্টারে চাকরির জন্য আসে। কিন্তু উদ্যোক্তা হতে চায় না। তাদের উৎসাহ দিতে হবে। যশোরে ৪০-৪২টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র দুটি কোম্পানির সিও নারী। এটা দুঃখজনক। আমি চাই আরো নারী আসুক। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের জন্য আইটিতে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। আমরা চাই মেয়েরা আইটিতে ক্যারিয়ার তৈরি করুক।



হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন বিবার্তা২৪.নেটের স্টাফ রিপোর্টার উজ্জ্বল এ গমেজ


বিবার্তা : কেন এমন হচ্ছে, আপনার অভিজ্ঞতা কী বলে?


হোসনে আরা বেগম : আমি যতটা জেনেছি এটা মেয়েদের পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যার কারণে হচ্ছে। যে কোনো উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হলে তাকে দিন-রাত পরিশ্রম করতে হয়। সব জায়গায় যেতে হয়, সবার সাথে মিশতে হয়। মার্কেটিং করতে হয়। মার্কেটিং ছাড়া ভালো প্রোডাক্টও কেউ জানবে না। চিনবে না। এসব সামাজিক বাধার কারণে অনেক মেয়েরা উদ্যোক্তা হতে সাহস করে না। সর্বোপরি মেয়েদের এ বিষয়ে আগ্রহ ও সচেতনতার অভাব রয়েছে। এজন্য এখন থেকে হাইটেক পার্ক অথরিটির পক্ষ থেকে যে কোনো প্রশিক্ষণে মেয়েদের উদ্যোক্তা হওয়ার লক্ষ্যে প্রণোদনা দিতে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হচ্ছে।


বিবার্তা/উজ্জ্বল/রবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com