গাজায় ক্ষুধায় বাড়ছে শিশু মৃত্যু, অপুষ্টিতে ১২ হাজার শিশু
প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১১:২২
গাজায় ক্ষুধায় বাড়ছে শিশু মৃত্যু, অপুষ্টিতে ১২ হাজার শিশু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

গাজায় চলমান সংঘাতে সবচেয় বড় ভুক্তভোগী ফিলিস্তিনের শিশুরা। ইসরাইলের অবরোধের কারণে খাবার না পেয়ে বাড়ছে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা।


জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, গাজায় এখন পাঁচ বছরের কম বয়সি প্রায় ১২ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। আর চলতি বছরের শুরু থেকে অনাহারে মৃত্যু হয়েছে ৯৯ ফিলিস্তিনির। তাদের মধ্যে ৩৫ জনই শিশু।


জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার তুর্ক সতর্ক করে বলেছেন, গাজা পুরোপুরি দখলের ইসরাইলি পরিকল্পনা আরও মৃত্যু ও দুর্ভোগ ডেকে আনবে এবং তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।


এই অবস্থার মধ্যেই গাজা পুরোপুরি দখলের অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। আল জাজিরা বলছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ আগস্ট) গাজা সিটিতে আগ্রসন চালায় ইসরাইলি সেনারা। এতে নারী-শিশুসহ প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।


একইদিন গাজা সিটির দারাজ ও তুফাহ এলাকার কিছু অংশের ফিলিস্তিনিদের নতুন করে জোরপূর্বক সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নেতানিয়াহুর সেনারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন, নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাসিন্দাদের দক্ষিণে আল-মাওয়াসির দিকে চলে যেতে হবে।


এরপর ওই দুই এলাকায় অভিযান চালিয়ে হামাসের বেশ কয়েকজন সদস্যকে হত্যা ও একাধিক সুড়ঙ্গের মুখ ধ্বংসের দাবি দখলদাররা। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন।


গাজা শহর দখলের পরিকল্পনা অনুমোদনের পর ইসরাইলে সামরিক সরঞ্জাম রফতানি স্থগিত করেছে জার্মানি। শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়ে দেশটি চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস বলেন, পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত উপত্যকাটিতে ব্যবহার হতে পারে এমন কোনো সামরিক সরঞ্জাম ইসরাইলে রফতানির অনুমতি দেবে না জার্মান সরকার।


এ বিষয়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইলের লক্ষ্য গাজা দখল করা নয়, বরং উপত্যকাটিকে হামাসের হাত থেকে মুক্ত করে সেখানে একটি শান্তিপূর্ণ সরকার গঠনের সুযোগ তৈরি করা।


এদিকে উপত্যকাটি দখলের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মানসুর। বলেন, যথেষ্ট হয়েছে। গাজাবাসী যুদ্ধ চায় না। হত্যাযজ্ঞ চায় না, আর গণহত্যা চায় না।


অন্যদিকে শুক্রবার ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বাসভবনের কাছে বিক্ষোভ করেন হামাসের সাবেক জিম্মি এবং এখনও বন্দি থাকা ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা । তাদের দাবি, অবিলম্বে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার পাশাপাষি এ যুদ্ধ থামাতে হবে। তা না হলে গাজা অধিগ্রহণের পরিকল্পনা আরও অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ডেকে আনবে।


বিবার্তা/এমবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com