
পাকিস্তানের পাঞ্জাবগামী দুটি কোচ থেকে কমপক্ষে ৯ জন যাত্রীকে অপহরণের পর তাদের গুলি করে হত্যা করেছে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দেশটির বেলুচিস্তান প্রদেশের ঝোব ও লোরালাই জেলার সীমান্তবর্তী সুর-দাকাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঝোবের সহকারী কমিশনার নবীদ আলম বলেন, ‘দুটি কোচ থেকে অপহৃত ৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।’ লাশগুলো রাখনিতে আনা হচ্ছে, সেখান থেকে নিহতদের নিজ নিজ পাঞ্জাবের এলাকায় পাঠানো হবে। ’
বেলুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র শহিদ রিনদ ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ফিতনা আল হিন্দুস্তান’ নামক একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী একযোগে কাকাট, মাসতুং এবং সুর-দাকাই এলাকায় হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সুর-দাকাই এলাকা থেকে কিছু যাত্রী অপহরণের খবর পাওয়া গেছে। বাকি অপহৃতদের উদ্ধারে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এন-৭০ মহাসড়কের পাশে ডাব নামক স্থানে দু’টি যাত্রীবাহী কোচ থামিয়ে দেয় সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা। তারা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে দুই কোচ থামিয়ে তল্লাশি চালায় এবং যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (সিএনআইসি) পরীক্ষা করে পাঞ্জাবের ঠিকানাযুক্ত ১০ জন যাত্রীকে অস্ত্রের মুখে গাড়ি থেকে নামিয়ে নেয়।
একজন বেঁচে ফেরা যাত্রী লেভিস বাহিনীকে বলেন, ‘তারা এক কোচ থেকে সাতজন এবং অন্য কোচ থেকে তিনজনকে টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে নিয়ে যায়। আমরা গাড়ি ছাড়ার সময় গুলির শব্দ শুনেছি, এরপর আর কিছু জানি না।’ অপহরণের পর হামলাকারীরা দুইটি বাসকেই এলাকা ছেড়ে যেতে দেয়।
নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত এন-৭০ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং হামলাকারীদের ধরতে বড় ধরনের অভিযান শুরু করে। তারা জানায়, সন্ত্রাসীরা যাত্রীদের পরিচয়পত্র দেখে শুধু পাঞ্জাবের বাসিন্দাদেরই টার্গেট করে। অপহরণের সময় তারা বাসে গুলিও চালায় যাতে কেউ পালাতে না পারে।
পরবর্তীতে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) হামলার দায় স্বীকার করে। সংগঠনটির এক মুখপাত্র জানান, তারা মুসাখেইল-মাখতার ও খাজুরি এলাকার মধ্যকার মহাসড়কে হামলা চালিয়ে ওই ৯ জনকে হত্যা করেছে।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]