
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার কারণে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কতটা পিছিয়েছে বলে মনে করেনি তিনি। জবাবে বলেন, তিনি মনে করেন, ‘মূলত কয়েক দশক। আমি মনে করি তারা যদি এটি পেত তাহলে তারা নরকে যেত। সবশেষ তারা সমৃদ্ধকরণ করতে চেয়েছিল। ওই আঘাত যুদ্ধের সমাপ্তি টেনেছে।’ খবর-বিবিসি
নেদারল্যান্ডসে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের পাশে বসেই তিনি সাংবাদিকদের এমনটি বলেন।
ট্রাম্প বলেন, তারা এত বড় ধাক্কা খেয়েছে, তারা যেন নরক থেকে ফিরে এসেছে… এখন তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে একদমই চাইবে না।
তিনি আরও বলেন, "এই হামলাতেই যুদ্ধের অবসান হয়েছে। "
তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের (পেন্টাগন) প্রাথমিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস হয়নি, বরং বড়জোর কয়েক মাসের জন্য পিছিয়েছে।
উল্লেখ্য, পেন্টাগনের একটি গোয়েন্দা পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা দেশটির পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস হয়নি। সম্ভবত এটি ‘কয়েক মাস পিছিয়েছে’।
ট্রাম্প ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাতের বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে, ‘দুটি বাচ্চা একই স্কুল প্রাঙ্গণে’।এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজা যুদ্ধের ক্ষেত্রেও ‘বড় অগ্রগতি’ হচ্ছে। গাজার বিষয়ে একটি চুক্তির একেবারেই কাছে আমরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নেদারল্যান্ডসে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে ন্যাটো জোটের মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে কথা বলেনছেন। ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট মার্কিন হামলার প্রশংসা করে বলেন, এই হামলা ইরানের পারমাণবিক ক্ষমতা ধ্বংস করে দিয়েছে। আমেরিকা ‘ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
এদিকে হেগ শহরে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রিত গুরুত্বপূর্ণ চার দেশ জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের নেতারা অংশ নিচ্ছেন না। এ সম্মেলনে বিশ্বের বৃহত্তম নিরাপত্তা সংস্থাটির জন্য নতুন প্রতিরক্ষা ব্যয়ের অনুমোদন দিয়ে এর ৩২টি সদস্য দেশ ঐক্যবদ্ধ হতে পারে অথবা তাদের মধ্যে বিভেদ আরও বাড়তে পারে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন। এ ছাড়া পশ্চিমা সামরিক জোটের এই বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড– ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের তিন গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দেশের নেতারাও।
এ ধরনের সমন্বিত অনুপস্থিতি একদিকে যেমন ন্যাটোর সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভবিষ্যৎ অংশীদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তেমনি আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে একটি বড় সংকেত হিসেবেও দেখা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য সংকট ও চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে সফর বাতিলের সিদ্ধান্তকে অনেকেই কৌশলগত হিসেবেই দেখছেন।
এদিকে সম্মেলনের এক ফাঁকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন ট্রাম্প। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্সির সূত্র জানায়, দুই পক্ষের টিম বৈঠকের বিস্তারিত চূড়ান্ত করছে। বৈঠকটি স্থানীয় সময় দুপুরের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠকে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও কিয়েভের জন্য অস্ত্র সংগ্রহের বিষয়ে আলোচনা হবে।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]