ভোটের আগে স্বাস্থ্য রিপোর্ট প্রকাশ করলেন কমলা
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৩
ভোটের আগে স্বাস্থ্য রিপোর্ট প্রকাশ করলেন কমলা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস তার মেডিকেল রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। তার চিকিৎসক এই রিপোর্টের সঙ্গে এক চিঠিতে লিখেছেন, হ্যারিসের স্বাস্থ্য চমৎকার এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করার জন্য শারীরিক ও মানসিক শক্তি তার আছে।


হ্যারিস মেডিকেল রেকর্ড প্রকাশের পর এখন আশা করছেন যে, তার প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্পও তার মেডিকেল রেকর্ড প্রকাশ করার জন্য চাপে পড়বেন।


হোয়াইট হাউজের বিলি করা চিঠিতে হ্যারিসের চিকিৎসক জোশুয়া সিমন্স জানিয়েছেন, “হ্যারিস সর্বশেষ এপ্রিলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছিলেন। তাতে তেমন কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। অনেক ব্যস্ত থাকার পরও হ্যারিসের জীবনধারা যথেষ্ট সক্রিয় এবং তিনি খুবই স্বাস্থ্যকর খাবার খান। মাঝে মাঝে তিনি মৌসুমী অ্যালার্জি এবং ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। তিনি তামাক সেবন করেন না আর মদ পানও করেন সামান্য। প্রেসিডেন্ট, প্রধান নির্বাহী, রাষ্ট্রের প্রধান এবং কমান্ডার ইন চীফ হিসাবে সব কাজ সফলভাবে সামলানোর জন্য হ্যারিসের প্রয়োজনীয় শারিরীক এবং মানসিক স্থিতিস্থাপকতা আছে।


হ্যারিসের একজন সহযোগী বলেছেন, ৫৯ বছর বয়সী হ্যারিস ৭৮ বছর বয়সী ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়ছেন। ট্রাম্পের মেডিকেল রিপোর্ট প্রকাশে অস্বীকৃতির বিষয়টিতে মানুষের মনোযোগ আকৃষ্ট করতেই হ্যারিস শনিবার তার স্বাস্থ্য তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরেছেন।


হ্যারিসের প্রচার শিবির ট্রাম্পের বেশি বয়সের বিষয়টি নিয়ে এখন প্রচার চালাতে উৎসুক। কারণ, ৮১ বছর বয়স্ক বাইডেন নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে যাওয়ার পর এখন ট্রাম্পই নির্বাচনের মাঠে সবচেয়ে বয়স্ক প্রার্থী।


ভোটোরদের মধ্যে জনপ্রিয়তার দিক থেকে ট্রাম্প এবং হ্যারিসের ব্যবধান খুবই কম। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের অনেক বেশি বয়স এবং স্খলিতভাবে চলার প্রবণতার বিপরীতে হ্যারিসের তুলনামূলক তারুণ্য এবং মানসিক দৃঢ়তাকে সামনে নিয়ে আসতে চাইছে তার প্রচার শিবির।


একইসঙ্গে ট্রাম্পের সঙ্গে হ্যারিসের স্বচ্ছতার মধ্যকার তফাতটাও তারা তুলে ধরতে চাইছে। এতে যে ভোটাররা এখনও সিদ্ধান্তহীন আছেন, তারা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্সির জন্য বেশি যোগ্য মনে করে তাকে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেও পারেন বলে মনে করছে তার প্রচারশিবির।


হ্যারিসের চিকিৎসক জানিয়েছেন, হ্যারিসের অ্যালার্জির সমস্যা ওষুধ দিয়ে ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তিনি তিন বছর অ্যালার্জেন ইমিউনোথেরাপি নিয়েছেন এবং অ্যালার্জির প্রবণতা ভালভাবেই কাটিয়ে উঠেছেন।


হ্যারিস কন্টাক্ট লেন্স পরেন। হ্যারিসের পরিবারে তার মায়ের কোলন ক্যান্সারে ভোগার ইতিহাস আছে। তবে হ্যারিস এখন পর্যন্ত কোলনস্কোপি কিংবা বার্ষিক মেমোগ্রামসহ কোনও প্রতিরোধক স্বাস্থ্য প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাননি।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com