
রুশ প্রেসিডেন্টকে পাঠানো জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তায় ‘ঘনিষ্ঠ সহচর’ সম্বোধন করেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। বার্তায় এ সম্বোধনের মাধ্যমে দুজনের সম্পর্কের গভীরতা ব্যক্ত করেছেন কিম।
বিবিসি জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পিয়ংইয়ং ও মস্কোর মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ’র বরাত দিয়ে ইয়োনহাপ নিউজ জানিয়েছে, দুই দেশের সম্পর্কের প্রশংসা করে কিম বলেছেন, গত জুনে পুতিনের পিয়ংইয়ং সফরের পর থেকে এই সম্পর্ক ‘অপরাজেয় ও চিরন্তন’ হয়ে উঠেছে।
উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক কয়েক দশকের পুরোনো। স্ট্যালিন এবং কিমের বর্তমান দাদা কিম ইল-সাংয়ের সময় থেকে এ সম্পর্ক চলে আসছে।
সোভিয়েত ইউনিয়ন উত্তর কোরিয়ার শুরুর দিনগুলোতে অস্ত্র ও প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করেছিল। পিয়ংইয়ং কখনই চীনের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করতে চায়নি। কারণ, তারা চীনকে পুরোপুরি বিশ্বাস করে না।
চলতি বছরের শুরুর দিকে, পুতিন ও কিম একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তাতে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, দুই দেশের যে কোনও একটির বিরুদ্ধে ‘আগ্রাসন’ ঘটলে একে অপরকে সাহায্য করবেন। যদিও আগ্রাসন বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন তা পরিষ্কার ছিল না।
অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তার বিনিময়ে অস্ত্র সরবরাহ করে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে কিমের বিরুদ্ধে। এমনকি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করছে বলে প্রমাণিত হয়েছে।
পুতিনের জন্য কিমের সঙ্গে সম্পর্কটা অনেকটাই দীর্ঘমেয়াদি কিছু না বরং নিজের প্রয়োজনীয় কিছু উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যই হয়ত এ বন্ধুত্ব। যেমন ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য পুতিনের সমর্থন প্রয়োজন, আর উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশ্য অস্ত্র বিক্রি করা। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অস্ত্রের বড় জোগানদাতা হয়ে উঠেছে দেশটি।
কারণ, দেশটির আছে বিশাল প্রতিরক্ষা শিল্প খাত এবং ব্যাপক মাত্রার উৎপাদন ক্ষমতা। তাই নিজেদের স্বার্থেই এই সমর্থন। তার মানে এই নয় যে, উত্তর কোরিয়ার সাহায্য ছাড়া রাশিয়া যুদ্ধ চালাতে পারবে না। তবে দীর্ঘদিন এ যুদ্ধ টিকিয়ে রাখতে পুতিনের সমর্থনের প্রয়োজন।
বিবার্তা/এনএইচ/রোমেল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]