
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অর্ধলাখেরও বেশি শিশুর অবিলম্বে তীব্র অপুষ্টির চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)।
শনিবার (১৫ জুন) এক বিবৃতিতে সংস্থাটি এ তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, গাজায় মানবিক ত্রাণসহায়তা প্রবেশে বিধিনিষেধ অব্যাহত রয়েছে। ফলে গাজার মানুষ চরম ক্ষুধার মুখোমুখি হচ্ছেন। আমাদের টিম যাদের সহায়তা প্রয়োজন তাদের কাছে পৌঁছাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ।
গাজায় ত্রাণ পাঠানো শুধু নয়, এসব ত্রাণ মানুষের মাঝে বিতরণ কতটা কঠিন সে বিষয়টি ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডারও সামনে নিয়ে এসেছেন।
জেমস এল্ডার বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করা কঠিন। তিনি আলজাজিরাকে বলেন, যেকোনো যুদ্ধের চেয়ে এই যুদ্ধে বেশি ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছে।
গত বুধবার (১২ জুন) ১০ হাজার শিশুর মাঝে পুষ্টি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বিতরণের একটি মিশন পরিচালনার কথা ছিল ইউনিসেফের। এসব ত্রাণসহায়তা বিতরণই তাদের কাজ ছিল। এই জন্য তারা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আগেই অনুমতি নিয়ে রেখেছিলেন।
জেমস এল্ডার বলেন, এই কাজ করতে আমাদের ১৩ ঘণ্টা সময় লাগে। তার মধ্যে আট ঘণ্টায় আমরা চেকপয়েন্টের আশপাশে কাটিয়েছি। এটা ট্রাক নাকি ভ্যান, এ নিয়ে ইসরায়েলিদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমাদের এই ট্রাককে আর ঢুকতে দেয়া হয়নি। ফলে ১০ হাজার শিশু সেই সহায়তা পায়নি। দখলদার শক্তি হিসেবে ইসরায়েলের এসব সহায়তার সুবিধা দেয়ার আইনি দায়িত্ব রয়েছে।
এদিকে আট মাসের ইসরায়েলি হামলা এবং অবরোধের জেরে উত্তর গাজায় এখন দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মানুষের কাছে খাবারের মতো তেমন কিছুই নেই। যা-ও নামমাত্র আছে সেগুলোর দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। তাই বাধ্য হয়ে উত্তর গাজাবাসী এখন শুধু রুটি খেয়ে দিন পার করছেন।
সূত্র: আল-জাজিরা
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]