
দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অপরাধে সাজা পাওয়ার পর গত মাসে মুক্তি পান থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। মুক্তির প্রায় তিন সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে এসেছেন তিনি। ব্যাংককের একটি মন্দির পরিদর্শন করতে দেখা গেছে তাকে।
১৪ মার্চ, বৃহস্পতিবার তিনি রাজ্যের উত্তরে চিয়াং মাইতে তিন দিনের সফরে বের হয়েছেন। সফরের আগে ব্যাংকক সিটি পিলার মন্দিরে যান থাকসিন।
মন্দির থেকে প্রার্থনা সেরে থাকসিন চিয়াং মাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এটি তার ঐতিহ্যগত রাজনৈতিক শক্তির ঘাঁটি। চিয়াং মাই তার নিজের শহর। এখান থেকেই তার রাজনৈতিক উত্থান। তার পরিবারও এই শহরে বাস করে।
থাকসিন সিনাওয়াত্রা থাইল্যান্ডের দুইবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। ২০০৬ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে জেল খাটছিলেন তিনি। কিন্তু আগেভাবেই ছাড়া পান সিনাওয়াত্রা। মুক্তি পাওয়ার পর এটিই তার প্রথম প্রকাশ্যে আসা।
এসময় সঙ্গে তার মেয়ে পেতংটার্ন, বর্তমানে ফেউ থাই পার্টির প্রধান ও তার স্বামী ছিলেন।
অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ৭৪ বছর বয়সী থাকসিন ১৫ বছর স্বেচ্ছায় নির্বাসন কাটিয়ে গত বছরের আগস্ট মাসে দেশে ফিরে আসেন। এসময় তাকে আট বছরের জেল দেয়া হয়। তবে থাই রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন তার শাস্তি এক বছর কমিয়ে দেন। গত মাসে সরকার বলেছিল, থাকসিন তার বয়স ও স্বাস্থ্যের কারণে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়ার অধিকার রাখে।
পুলিশ কর্মকর্তা থেকে টেলিকম টাইকনে পরিণত হয়েছিলেন থাকসিন। তিনি ২০০০ সালের গোড়ার দিকে জনপ্রিয় নীতির জন্যে লাখ লাখ গ্রামীণ জনগণের ব্যাপক ভালোবাসা পান। কিন্ত তিনি দেশের রাজকীয় ও সামরিকপন্থীদের ব্যাপক বিরোধিতার মুখে পড়েন।
প্রতিষ্ঠানপন্থী এবং থাকসিন ও তার মিত্রদের মধ্যে আধিপত্যের এ লড়াই গত দুই দশকের থাই রাজনীতিকে প্রবলভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]