
প্রথমবারের মতো অ্যান্টার্কটিকার মূল ভূখণ্ডে একটি মারাত্মক ধরনের বার্ড ফ্লু নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, দক্ষিণ মেরুর বরফাচ্ছাদিত মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকার পাখিদের মধ্যে প্রথমবারের মতো বার্ড ফ্লুর একটি বিধ্বংসী ধরন এইচ৫এন১ সাবটাইপ হানা দিয়েছে।
অ্যান্টার্কটিকায় আর্জেন্টিনার বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র হায়ার কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক ইনভেস্টিগেশন (সিএসআইসি) রবিবার এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অ্যান্টার্কটিকার প্রিমাভেরা এলাকায় অবস্থিতি এই গবেষণা কেন্দ্রের কার্যালয়ের কাছাকাছি সামুদ্রিক পাখি স্কুয়া পাখির বেশ কয়েকটি দেহ পড়ে থাকতে দেখেন সিএসআইসির বিজ্ঞানীরা। পরে পরীক্ষা করে জানা যায়, এই পাখিগুলোর মৃত্যুর কারণ এইচ৫এন১ সংক্রমণের জেরে সৃষ্ট বার্ড ফ্লু।
প্রসঙ্গত, বার্ড ফ্লু বা এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রান্ত যতগুলো ভাইরসের অস্তিত্ব বর্তমানে দেখা যায়, সেসবের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক এইচ৫এন১। এই ভাইরাসটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে এবং কোনো পাখি যদি এটিতে আক্রান্ত হয়, তাহলে সেই পাখির মৃত্যু প্রায় অবধারিত।
‘জীবিত পাখিদের থেকে তো বটেই, এমনকি মৃত পাখিদের দেহ থেকেও এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম,’ বিবৃতিতে বলেছে আর্জেন্টাইন গবেষণা সংস্থা।
এদিকে, অ্যান্টার্কটিকা ও তার সংলগ্ন দ্বীপগুলোতে বসবাস করে লাখ লাখ পেঙ্গুইন। যদি কোনো ভাবে এদের একটি পেঙ্গুইন আক্রান্ত হয়, তাহলে এই বিশাল বসতি রীতিমতো উজাড় হয়ে যাবে।
তবে আর্জেন্টাইন বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের সংক্রমণে কোনো পেঙ্গুইনের মৃত্যুর তথ্য পাননি তারা।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে বার্ড ফ্লু প্রথমবারের মতো শনাক্ত করা হয়। এরপর থেকেই এটি পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে এটি ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে ২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকে দক্ষিণ আমেরিকাসহ ওই অঞ্চলের যেসব এলাকায় এর আগে বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাব ছিল না, সেসব এলাকায়ও এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ফলে ব্যাপক হারে বন্য পাখি এবং লাখ লাখ হাঁস-মুরগি মারা যায়।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]