
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আরও ১৩০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা বিবিসি।
ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাশিয়ার এই হামলায় ১৩৯টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে বেশ কিছু মানুষ আটকা পড়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এর আগে উত্তর-পূর্বে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, আট বছর বয়সী একটি মেয়েসহ আটজন নিহত হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, রাজধানী কিয়েভে ২২ জন আহত হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লেগে গেছে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি মঙ্গলবার রাতে দেয়া ভিডিও ভাষণে বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষের জীবনকে আধুনিক রাশিয়া তার নিজের জন্য হুমকি বলে মনে করে। এই রাষ্ট্রটি একটি সন্ত্রাসী।’
মঙ্গলবার সকালের এই হামলায় বিশেষভাবে খারকিভ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মেয়র ইহোর তেরেখভ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শহরের ফ্ল্যাটের একটি ব্লকের অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের জন্য ধ্বংসস্তূপের ভেতরে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। হামলার পর শহরের আকাশ আগুনে পোড়া কমলা রঙে পরিণত হয়। মূলত শহরটিতে হামলায় একাধিক ধরনের রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। শহরটি রাশিয়ান সীমান্তের খুব কাছাকাছি অবস্থিত এবং এই কারণে আকাশপথে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে আটকানো বেশ কঠিন।
খারকিভের বাসিন্দা নাটালিয়া বিবিসিকে বলেন, 'যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এত জোরে কোনো শব্দ শুনিনি। আমার বাড়ি কেঁপে উঠেছিল। পুরোটাই খুব জোরে ছিল। প্রথম বিস্ফোরণের দশ সেকেন্ড পর আরেকটি বিস্ফোরণ হয়েছে'।
এদিন সকালে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গত ২ জানুয়ারির পর সবচেয়ে বেশি সময় 'আড়াই ঘণ্টারও বেশি' ধরে বিমান হামলা চলে। একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে এক তরুণীকে টেনে আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকারীরা ভেবেছিলেন তিনি মারা গেছেন, কিন্তু তিনি এখন হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন। বেশির ভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিয়েভের সেন্ট্রাল সোলোমিয়ানস্কি এবং পশ্চিমের সোভিয়াতোশিনস্কি জেলায়।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]