ভারতের উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে ধসে পড়া একটি টানেলের ভেতর ১৭ দিন ধরে আটকা থাকার পর অবশেষে মুক্ত হলো ৪১ শ্রমিকের সবাই।
২৮ নভেম্বর, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫৩ মিনিটে প্রথম শ্রমিককে বের করে বন্দিদশা থেকে মুক্ত বাতাসে নিয়ে আসা হয়। আর সর্বশেষ জনকে বের করে উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি টানা হয় রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে।
শুরুতে উদ্ধারকারী দলের কর্মকর্তারা জানান, একেজনকে বের করতে মোটামুটি পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মতো লাগছে। সবাইকে টানেল থেকে বের করতে সব মিলিয়ে তিন ঘণ্টার মতো লেগে যাবে। তবে এক ঘণ্টার মধ্যেই তারা কাজ সমাপ্ত করতে সমর্থ হন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার থেকে যন্ত্রের পরিবর্তে কায়িক শ্রম নির্ভর ‘ম্যানুয়াল ড্রিলিং’ শুরু হয়। ২৪ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল ‘র্যাট হোল মাইনিং’ নামে পরিচিত এই প্রক্রিয়াটি শুরু করেন। তারা আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য একটি অপ্রশস্ত পথ তৈরি করেন।
ঘটনাস্থলে আটকে পড়াদের স্বজনসহ উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি। উদ্ধারকাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা শ্রমিকদের সবাই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শ্রমিকদের বের করে আনতে ৬০ মিটার লম্বা একটি পাইপ স্থাপন করা হয়। এই পাইপের মধ্যে দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি চাকাচালিত স্ট্রেচারে করে শ্রমিকদের বাইরে নিয়ে আসা হয়।
শ্রমিকদের উদ্ধারে প্রথমে ওই পাইপ দিয়ে বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন কয়েকজন উদ্ধারকারী টানেলের ভেতরে পৌঁছান। বিশেষ ওই স্ট্রেচারে করে কীভাবে বের হতে হবে- সে ব্যাপারে আটকে পড়া শ্রমিকদের নির্দেশনা দেন তারা। শ্রমিকদের স্বাস্থ্যও পরীক্ষা করেন তারা। পরে শ্রমিকদের একেক করে স্ট্রেচারে শুইয়ে দেওয়া হয় আর বাইরে থেকে স্ট্রেচার টেনে টেনে তাদের বের করে আনা হয়।
গত ১২ নভেম্বর উত্তরাখন্ডের উত্তরকাশী জেলার একটি জাতীয় মহাসড়কে নির্মাণাধীন এই সুড়ঙ্গের একাংশ ধসে পড়ে। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা সাড়ে আট মিটার এবং এটি প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ। প্রায় ১৭ দিন ধরে সেখানে ৪১ জন শ্রমিক আটকা ছিল।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]