ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। সর্বশেষ বন্ধ হয়ে যাওয়া ওই হাসপাতাল দুটি হচ্ছে আল শিফা ও আল কুদস হাসপাতাল। এছাড়া আল শিফা হাসপাতালে হামলায় ৩ জন নার্স নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
অন্যদিকে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালও বন্ধ হয়ে গেছে। সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মারা গেছে তিন শিশুসহ অন্তত ১২ রোগী।
১৩ নভেম্বর, সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজার দুটি বৃহত্তম হাসপাতাল- আল-শিফা এবং আল-কুদস হাসপাতাল উভয়ই বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েলি স্নাইপাররা আল-শিফা হাসপাতালের কাছে কাউকে দেখতে পেলেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালটির ভেতরে হাজার হাজার মানুষকে আটকে রেখেছে ইসরায়েল।
জাতিসংঘ বলেছে, গত ১১ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সংকটের কারণে এ পর্যন্ত দুই অপরিণত শিশুসহ ১২ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তৃতীয় আরেক শিশুর মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, আল শিফা ও আল কুদস হাসপাতালের পাশাপাশি কামাল আদওয়ান হাসপাতালেও জ্বালানির অভাবে সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
কামাল আদওয়ান হাসপাতালের প্রধান আহমেদ আল-কাহলুত জানিয়েছেন, সেখানে শত শত রোগী ছাড়াও পাঁচ হাজারের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ রয়েছেন। কিন্তু ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের ভয়ে কেউ বাইরে যেতে পারছেন না।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, হাসপাতাল থেকে কেউ বের হলেই ইসরায়েলি স্নাইপাররা গুলি করছে। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]