গাজার হাসপাতাল থেকে রোগীদের বের করে দিচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ০১:২৮
গাজার হাসপাতাল থেকে রোগীদের বের করে দিচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

গাজার সব প্রধান হাসপাতাল আল-শিফা, আল-কুদস, আল-রানতিসি এবং ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের একেবারে কাছে এখন ইসরায়েলি বাহিনী অবস্থান নিয়েছে। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সারাদিন ধরে হাসপাতালগুলোর আশপাশে এবং ভেতরেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।


ইসরায়েল বারবার অভিযোগ করে আসছে যে আল-শিফা হাসপাতালের নিচের টানেলে হামাস অবস্থান করছে, যা অস্বীকার করেছে হামাস।


এক নারীর করা একটি ভিডিও বিবিসি যাচাই করে দেখেছে যে, সেটি গাজা শহরের আল-রানতিসি হাসপাতালের ভেতরে করা। সেখানে তিনি বলছেন যে এই হাসপাতালটি চারদিকে ট্যাঙ্ক দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে এবং এখানে আশ্রয় নেয়া সবাইকে চলে যেতে বলা হয়েছে।


অন্যদিকে গাজার আরেকটি হাসপাতাল আল-নাসর থেকে সাদা পতাকা হাতে শিশু ও বয়স্কদের বের হতে দেখা যায়।


ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা বলেছেন, দখলদার ইসরায়েলি সেনারা গাজার হাসপাতাল থেকে কোনো রোগীকে অন্যত্র সরাচ্ছে না। তারা রোগীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে রাস্তায় বের করে দিচ্ছে। মূলত তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।


রবিবার (১২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, হাসপাতালে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। রোগীদের অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। রোগীরা তাদের চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছে।


ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, প্রাপ্ত বয়স্ক ও শিশু কিডনি রোগীরা অতিপ্রয়োজনীয় ডায়ালাইসিস করতে না পেরে বাড়িতে মরছেন।


তিনি জানিয়েছেন, আল-রানতিসি এবং তার্কিস হাসপাতালে যে ৩ হাজার ক্যান্সার রোগী ছিলেন তাদের জোর করে বের করে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এখন এসব রোগী নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে রয়েছেন।


প্রসঙ্গত, জ্বালানির অভাবে ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে গাজা উপত্যকার দ্বিতীয় বৃহৎ হাসপাতাল আল-কুদস। ছোট্ট এ অঞ্চলটির বৃহৎ হাসপাতাল আল-শিফাও বন্ধ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।


বর্তমানে গাজার বড় হাসপাতালগুলো ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। শনিবার তারা আল-শিফার ভেতর হামলা চালায়।


এছাড়া জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে সেখানকার শিশু ওয়ার্ডটিও। এতে হাসপাতালটিতে থাকা ৪৫ শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়েছে।


আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রস্তাব দেয় আল-শিফা হাসপাতাল থেকে শিশুদের অন্য কোনো নিরাপদ হাসপাতালে সরিয়ে নিতে সহায়তা করবে তারা।


তবে ওই শিশুদের কিভাবে সরানো হবে সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়। কিন্তু ইসরাইলি সেনারা এখন পর্যন্ত শিশুদের সরানোর কোন উদ্যোগ নেয়নি।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com