কাতারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক আট কর্মকর্তাকে ফেরাতে সবকিছু করছে দিল্লি। ৩০ অক্টোবর, সোমবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দণ্ডিতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে এ মন্তব্য করেন।

পরে সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে জয়শঙ্কর লেখেন, আমরা আপনাদের শঙ্কা ও ব্যথা অনুভব করতে পারছি। তাদের মুক্তির জন্য ভারত সরকার সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। তাদের মুক্ত করা আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে।

একই দিন ভারতের নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমির‌্যাল আর হরি কুমারও সাংবাদিকদের প্রায় একই ধরনের কথা বলেছেন। হরি কুমার বলেন, আমাদের কর্মকর্তাদের মুক্ত করতে সব কিছুই করছে সরকার।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগে ভারতের আট নাগরিককে গত বৃহস্পতিবার কাতারের একটি আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। কাতারের এ শাস্তিকে তাৎক্ষণিকভাবে গভীর বেদনাদায়ক বলে মন্তব্য করেছে ভারত। পাশাপাশি সম্ভাব্য সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানায় দেশটি।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সবাই ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা। তারা হলেন নৌবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার বার্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বাশিস্ট, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুনাকার পাকালা, নাবিক রাগেশ ও কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্তা।

হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক নৌ সদস্যরা কাতারের ডাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালট্যান্সি সার্ভিসেস নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। প্রতিষ্ঠানটি কাতারের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও স্বল্প পরিসরে কিছু সেবা দিত।

একটি সূত্রের বরাতে গণমাধ্যমটি জানায়, ডাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালট্যান্সি সার্ভিসেসের স্পর্শকাতর বিভাগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সাবেক ওই নৌ সদস্যরা। ওই বিভাগে সাবমেরিন সম্পর্কিত কার্যক্রম চালাতেন তারা। আর ওই কাজের ফাঁকেই ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার সময় ধরা পড়েন। তাদের মধ্যে একজন কর্মকর্তা ভারতের একটি যুদ্ধজাহাজ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।

২০২২ সালের আগস্টে কাতারের গোয়েন্দা বিভাগ ওই সাবেক নৌ সদস্যদের আটক করে। চলতি বছর তাদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির মামলা করা হয়। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা কাতারের তথ্য ইসরায়েলে পাচার করছিলেন।

বিবার্তা/লিমন