নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিবছর অন্তত ২ লাখ ৭০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। তবেই কেবল বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি আটকানো সম্ভব হবে।
১৪ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা ও কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান উড ম্যাকেঞ্জি এক বিবৃতির মাধ্যমে জানান এ তথ্য।
শূন্য কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা হলো—বিশ্বব্যাপী কার্বনের নিঃসরণ যতটা সম্ভব শূন্যের কাছাকাছি নামিয়ে আনা এবং অবশিষ্ট নিঃসৃত কার্বন বায়ুমণ্ডল থেকে বন এবং সাগরের সহায়তায় পুনঃশোষণ করা।
উডম্যাকের গবেষণা বলছে, বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার যে প্রতিশ্রুতি সে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হবে ফলে তাও ব্যর্থ হবে বিশ্বের দেশগুলো। জাতিসংঘ সতর্ক করে জানিয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা আড়াই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে।
উডম্যাকের গবেষণা বলছে, বর্তমানে বৈশ্বিক জ্বালানি খাতকে কার্বনমুক্ত করতে প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হচ্ছে। তবে শূন্য কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এই পরিমাণ ১৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ২ লাখ ৭০ হাজার কোটি ডলার করতে হবে। এবং এই মোট বিনিয়োগের তিন চতুর্থাংশই করতে হবে শক্তি এবং অবকাঠামো খাতে। তবেই কেবল বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হবে।
উডম্যাকের চেয়ারম্যান এবং প্রধান বিশ্লেষক সিমন ফ্লাওয়ারস বলেন, ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়টি অর্জন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে। তবে চলতি দশকে আমরা কি সিদ্ধান্ত নিব তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে কি না।
উডম্যাকের গবেষণায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি যেমন—সৌর শক্তিকে বিশ্বের প্রয়োজনীয় শক্তির অন্যতম উৎস হিসেবে ব্যবহারের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিবহন খাতকে বিদ্যুতায়িতকরণ, হাইড্রোজেন জ্বালানির ব্যবহারও বাড়ানোর প্রতি তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
বিবার্তা/পুলক/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]