কেরালায় নিপাহ ভাইরাসের বাংলাদেশি ভ্যারিয়ান্ট
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:২৫
কেরালায় নিপাহ ভাইরাসের বাংলাদেশি ভ্যারিয়ান্ট
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জের দাবি নিপা ভাইরাসের যে স্ট্রেইন বা ভ্যারিয়েন্ট কেরালায় ছড়িয়েছে তা বাংলাদেশি ভ্যারিয়েন্ট। তার মতে বাংলাদেশি এই ভ্যারিয়েন্ট মানুষ থেকে মানুষের মাঝে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং বাংলাদেশি ভ্যারিয়েন্টে মৃত্যুর হার অনেক বেশি ।


ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার কোঝিকোড়ে নিপা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা রকেট গতিতে বাড়ছে। এরই মধ্যে দুইজন নিপা রোগীর মত্যু হয়েছে। কোঝিকোড় এলাকার ৭টি গ্রাম রাতারাতি ‘কন্টেইনমেন্ট জোন’ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে স্কুলও।


সংক্রমিত বাদুড়, শূকর বা অন্যান্য প্রাণীর শরীর থেকে নিঃসৃত তরলের মাধ্যমে মানবদেহে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের তীব্র শ্বাসকষ্ট, এনসেফালাইটিস, জ্বর, মাথা ধরা, পেশির যন্ত্রণা, বমি ভাব হতে পারে। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার ৪০ থেকে ৭৫ শতাংশ হয়। ডব্লিউএইচও এই ভাইরাসটিকে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের জন্য বৃহত্তর হুমকি শনাক্ত করলেও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর এটি মোকাবিলায় কোনও প্রকল্পই নেই বলে অভিযোগ করেছে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা অ্যাকসেস টু মেডিসিন্স ফাউন্ডেশন।


কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ বলেছেন, আমরা সংক্রমিতদের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদের শনাক্ত করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। যাদের উপসর্গ রয়েছে, তাদের আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। চিকিৎসা ব্যবস্থায় যাতে কোনও ধরনের সংকট সৃষ্টি না হয়, সেজন্য রাজ্যের কিছু অংশে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে।


তিনি আরও জানান, প্রাণ হারানো দুজনের সংস্পর্শে আসা ১৬৮টি জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। কেরালায় ২০১৮ সালের পর এটি নিপার চতুর্থ প্রাদুর্ভাব। ২০১৮ সালে কেরালায় প্রথম নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। ওই বছর ২৩ জন আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়। এরই মধ্যে কেরালা সরকার বাদুড় নিয়ে সমীক্ষা শুরু করেছে। খেজুরের রস খাওয়া থেকে আপাতত দূরে থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।


বাংলাদেশে প্রায় প্রতিবছর নিপা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা যায়। এতে মৃত্যুও ঘটে। বাংলাদেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে সাধারণত শীতকালে। ২০০১ সালে বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলায় ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিলিগুড়িতে এই ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়।


এরপর ২০০৩, ২০০৪, ২০০৫ সাল এবং পরবর্তী বছরগুলোতে বাংলাদেশের নওগাঁ জেলা, মানিকগঞ্জ জেলা, রাজবাড়ী জেলা, ফরিদপুর জেলা ও টাঙ্গাইল জেলায় এর সংক্রমণ ঘটে। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত ৩২৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩১ জন মারা গেছে।


বিবার্তা/পুলক/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com