বিশ্বে প্রতি ছয়টি মৃত্যুর মধ্যে একটির জন্য দায়ী দূষণ। এই পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষেত্রে আরও ভয়াবহ। বাংলাদেশে দূষণের কারণে প্রতি চারজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হচ্ছে। বায়ু, পানি ও মাটির দূষণে এসব মৃত্যু ঘটছে।
বিশ্বের অন্যতম দূষিত অঞ্চল দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রমবর্ধমান বায়ু দূষণে জনপ্রতি পাঁচ বছরেরও বেশি আয়ু কমতে পারে। যা স্বাস্থ্যের ওপর বায়ু দূষণের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকিকে তুলে ধরছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
শিকাগো ইউনিভার্সিটি অব এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট (ইপিআইসি)-এর সর্বশেষ এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স-এ বলেছে, বিশ্বব্যাপী দূষণের কারণে হারিয়ে যাওয়া মোট আয়ুষ্কালের অর্ধেক এই অঞ্চলে। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং পাকিস্তান অঞ্চলটিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
দ্রুত শিল্পায়ন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুর মান কমে যাওয়াতে অবদান রেখেছে। যেখানে দূষণ কণার মাত্রা বর্তমানে শতাব্দীর শুরুর তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি। এখন এই দূষণ বৃহত্তর স্বাস্থ্য হুমকিতে সৃষ্ট বিপদকে ছাড়িয়ে গেছে।
গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ বাংলাদেশে প্রত্যেক মানুষ জীবন থেকে গড়ে ৬ বছর ৮ মাস হারিয়ে যাচ্ছে বায়ু দূষণের কারণে। যুক্তরাষ্ট্রে এই গড় ৩ বছর ৬ মাস।
এতে আরও বলা হয়েছে, ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বের দূষণের প্রায় ৫৯ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য ভারত দায়ী। বিপজ্জনক বায়ু দেশটির আরও কিছু দূষিত অঞ্চলে আয়ুষ্কাল আরও হ্রাসের হুমকি দিচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ও ঘনবসতিপূর্ণ নয়াদিল্লি শহরে গড় আয়ু ১০ বছরেরও বেশি কমে গেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকারক পিএম ২.৫ হিসেবে বায়ুবাহিত কণার মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশকৃত মাত্রায় নিয়ে আসলে গড় আয়ুষ্কাল ২ বছর ৩ মাস বাড়তে পারে। পাকিস্তানের মানুষের আয়ুষ্কাল বাড়তে পারে ৩ বছর ৯ মাস এবং জাপানে তা হতে পারে ৪ বছর ৬ মাস।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশকৃত মানমাত্রা হলো গড়ে বছরে প্রতি ঘনমিটারে বায়ুবাহিত কণা ৫ মাইক্রোগ্রামে সীমাবদ্ধ করা।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]