ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ড্রোন হামলার পাশাপাশি বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইল। আধা বর্গকিলোমিটারের কম আয়তনের শিবিরটিতে গতকাল সোমবার শুরু হওয়া এই অভিযান ছিল দুই দশকের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের ঘটনা। অভিযানে এখন পর্যন্ত নয় ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। খবর আল জাজিরা, দ্য গার্ডিয়ানের।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার দিবাগত রাতে ১৪ হাজারের মতো শরণার্থী থাকা জেনিনের ওই শিবিরটিতে ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ১০ দফা বিমান হামলা চালিয়েছে। অন্তত দেড় শতাধিক সাঁজোয়া যানে করে প্রায় ১০ হাজার ইসরাইলি সেনা শিবিরটিকে চারদিকে ঘিরে রেখেছিল। তাদের মধ্যে ইসরাইলি সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ছিল।

দুই দশক আগের দ্বিতীয় ইন্তিফাদার পর জেনিন শহরে এ ধরনের বড় অভিযানের ঘটনা আর ঘটেনি। শিবিরটিকে ঘিরে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বাড়ছে।

জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে নিহত আটজনের নাম প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা হলেন- নুর আল-দিন হুসাম মারশউদ (১৬), মাজদি আররাভি (১৭), আলী হানি আল-গৌল (১৭), হুসাম মোহাম্মদ আবু থিবা (১৮), আওস হানি হনউন (১৯), সামীহ ফিরাস আবু আল-ওয়াফা (২০), আহমদ মোহাম্মদ আমের (২১) ও মোহাম্মদ মুহান্নাদ আল-শামি (২৩)।

সোমবার ইসরাইলি বাহিনীর হাতে নিহত ২১ বছর বয়সী আরেক ফিলিস্তিনি। তার নাম মোহাম্মদ ইমাদ হাসানিন। রামাল্লা শহরের উত্তর দিকের প্রবেশপথে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্টের পরিচালক মাহমুদ আল-সাদী বলেন, জেনিনে বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। মনে হচ্ছে ভূপৃষ্ঠে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। অনেক ঘরবাড়ি বোমা হামলার শিকার হয়েছে এবং পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা বলেন, ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় যারা আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ইসরাইল জেনিন শহরে হামলা চালাবে তা অনুমান করে আমরা গত সপ্তাহে চিকিৎসা সামগ্রী এবং ওষুধ হাসপাতালে সরবরাহ করেছিলাম। এসব দিয়ে তিন মাসের চিকিৎসা চালানো যাবে।

বিবার্তা/মাসুম