মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তুরস্কের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় ফিদানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন।
৮ জুন, বৃহস্পতিবার এই দুই শীর্ষ কূটনীতিক ফোনে কথা বলেছেন।
তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শস্য চুক্তি থেকে শুরু করে সুইডেনের ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়া, আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের মধ্যে স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচনা করেছেন। এছাড়া তুরস্কের কাছে মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রির বিষয়েও কথা হয়েছে। উভয় মন্ত্রী দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক এজেন্ডা নিয়ে আলোচনার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আরেকটি বৈঠক করতে সম্মত হয়েছেন।
গত মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, তারা তুরস্কের কাছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রির বিষয়ে নতুন করে কথা বলতে চায়। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, আমরা এখনও সে বিষয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
ন্যাটো সদস্য তুরস্ক তার বিমান বাহিনীকে আপডেট করার জন্য তার বিদ্যমান যুদ্ধ বিমানের বহরকে আধুনিকীকরণের চেষ্টা করছে। এজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৪০ টি লকহিড মার্টিন এফ-১৬ জেট এবং প্রায় ৮০টি আধুনিকীকরণ কিট কেনার চেষ্টা করছে। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রযুক্তিগত আলোচনা সম্প্রতি শেষ হয়েছে। বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, তারা বিক্রির বিষয়টি সমর্থন করছে।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের মধ্যে একটি শস্য চুক্তিতে মধ্যস্থতা করার জন্য তুরস্কের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তুরস্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া উভয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখে। তবে প্রায়শই ওয়াশিংটনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ হয়। বিশেষ করে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ওয়াইপিজিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন দেওয়ায় তুরস্ক ক্ষুব্ধ। ওয়াইপিজিকে কুর্দি সংগঠন পিকেকে এর সিরিয়া শাখা বলে মনে করেন তুর্কি কর্মকর্তারা। এটিকে তুরস্কের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করা হয়।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]