লিবিয়ায় দীর্ঘ দিন ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সমাপ্তির লক্ষে ত্রিপোলিভিত্তিক আন্তর্জাতিক সরকার জিএনএ ও খলিফা হাফতারের বাহিনী এলএনএ স্থায়ী যুদ্ধবিরতি দিয়ে শান্তিচুক্তি করতে সম্মত হয়েছে।
শুক্রবার ( ২৩ অক্টোবর) যুদ্ধরত প্রধান দুই পক্ষ পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়।এছাড়া, দেশটি থেকে রাশিয়া, তুরস্ক ও অন্যাক্ত আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সেনাদের ফিরিয়ে নেয়া হতে পারে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
শুক্রবার ( ২৩ অক্টোবর) জাতিসংঘের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, লিবিয়ায় যুদ্ধরত উভয় পক্ষের সামরিক প্রধানরা আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। একে ঐতিহাসিক চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চলা দেশটিতে শান্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়, শান্তিচুক্তিতে মধ্যস্ততা করেছে জাতিসংঘের দূত স্টিফেন টুরকো উইলিয়ামস। এতে স্বাক্ষর করেছে খলিফা হাফতারের বাহিনী এলএনএ এবং ত্রিপোলিভিত্তিক সরকার জিএনএ। ক্ষমতার প্রক্রিয়া কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা করতে আগামী মাসে তিউনিশিয়ায় বসবে দুইপক্ষ।
জাতিসংঘের দূত স্টিফেন উইলিয়ামসের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, আগামী ৩ মাসের মধ্যে দেশটিতে থাকা বিভিন্ন দেশের সেনাদের প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
স্টিফেন উইলিয়ামস বলেন, স্রষ্টার ইচ্ছায় এটা পুরো লিবিয়ার শান্তির চাবিকাঠি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে বিক্ষোভ ও গৃহযুদ্ধে লিবিয়ার দীর্ঘকালীন শাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির পদচ্যুতি ও নিহত হওয়ার পর দেশটি দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে।জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার রাজধানী ত্রিপোলিসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে।
অন্যদিকে বেনগাজিকে কেন্দ্র করে মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থিত বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলের দখল নেয়।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]