নাইজেরিয়ার লাগোসে পুলিশি নৃশংসতার বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে গুলি চলেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালানোর পর অন্তত ২০ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। বুধবার একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে জানায়, তিনি ২০ জনের মরদেহ দেখেছেন এবং আহত অবস্থায় দেখেছেন অন্তত ৫০ জনকে।
বিক্ষোভে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছে সেনাবাহিনী। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, বিক্ষোভে মৃত্যুর বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট পেয়েছে তারা।
এদিকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে যে, তারা এই গোলাগুলির ঘটনার তদন্ত করবে। লাগোস এবং অন্যান্য শহরে ২৪ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
দুসপ্তাহ ধরে দেশটির বড় শহরগুলোয় পুলিশের বিতর্কিত বিশেষ বাহিনী স্পেশাল অ্যান্টি-রবারি স্কোয়াডের (সার্স) বর্বরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। হতাহত ছাড়াও অনেক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
লাগোসে ওই গোলাগুলির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। তিনি নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি এবং দেশটির সেনাবাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের হত্যা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
নিজের দেশের জনগণকে হত্যায় নাইজেরিয়া সরকারকে দায়ী করেছেন দেশটির ফুটবলার ওডিয়ন জুড ইগহালো। টুইটারে এক ভিডিও বার্তা পোস্ট করে তিনি বলেন, ‘আমি এই সরকারকে নিয়ে খুবই লজ্জিত।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লাগোসের লেকিতে সামরিক পোশাকে থাকা লোকজন এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছে। বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করতে বিভিন্ন স্থানে বেরিকেড দিতে দেখা গেছে সেনা সদস্যদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ঠিক ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে তারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের দিকে সরাসরি গুলি ছুড়তে শুরু করে। সে সময় বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। তিনি জানান, তার পাশে থাকা একজনের গায়ে গুলি লাগলে তিনি ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।
বিবার্তা/এনকে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]