
ইরান বড় ধরণের যুদ্ধে বিজয়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি।শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইরানের একটি টিভি চ্যানেলের লাইভ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
সালামি বলেন, ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আইন আল আসাদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রকৃতপক্ষে কোনো প্রতিশোধ ছিল না। আমরা কোনো মার্কিন সেনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সেখানে হামলা চালায়নি। আমরা শুধু আমেরিকাকে এটাই বুঝাতে চেয়েছিলাম যে, আমরা যা বলি তাই করি এবং তা করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।
তিনি বলেন, জেনারেল সোলাইমানির পর্যায়ের কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমরা তার পর্যায়ের কাউকে খুঁজে পাচ্ছি না। কয়েকজন মার্কিন সেনা বা জেনারেলকে হত্যা করে এর প্রতিশোধ হবে না। জেনারেল সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার কাজ তখনি সম্পন্ন হবে যখন তার লক্ষ্য-আদর্শ বাস্তবায়িত হবে। জেনারেল সোলাইমানি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যকামী ব্যবস্থার পতন চেয়েছিলেন। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যকামী ব্যবস্থার পতন ঘটিয়েই সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
জেনারেল সালামি বলেন, মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার দিন আমরা বড় ধরণের যুদ্ধের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমরা এটা ধরে নিয়েছিলাম যে আমেরিকা পাল্টা আঘাত হানবে। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিল যে তারা ইরানের ৫২টি স্থাপনায় হামলা চালাবে। আমরা তাকে বুঝিয়ে দিয়েছি ইরান ভয় পায় না।
তিনি বলেন, ইরান বড় ধরণের যুদ্ধে বিজয়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে আমেরিকা বর্তমানে কোনো যুদ্ধে জড়ানোর অবস্থায় নেই। সালামি আরও বলেন, যুদ্ধের প্রস্তুতি থাকলেও ইরান কখনোই যুদ্ধ চায় না। কিন্তু যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দেয়ার জন্য ইরান সব সময় প্রস্তুত থাকে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক-বিষয়ক বিশ্লেষক আন্তোনি ক্রোদযম্যান ইরানের শক্তিশালী সামরিক অবস্থানের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ওই দেশটির বিরুদ্ধে যে কোনো সামরিক আগ্রাসন চালানো হলে তেহরান ওই অঞ্চলে ভূমিকম্প ঘটিয়ে ছাড়বে। কারণ পশ্চিম এশিয়ায় যে কোনো মার্কিন স্বার্থে আঘাত হানার মত সামরিক শক্তি ইরানের আছে।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]