যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরো ৫০ হাজার ২০৩ জন।
এখন পর্যন্ত একদিনে এটাই সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ২৬ লাখ ৮৫ হাজার ৮০৬ জন।
এদিকে, ওয়ার্ল্ডওমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫৩। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৯৮ জন।
দেশটিতে এর মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৮০ জন। তবে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ১৪ লাখ ৮৪ হাজার ৪৭৫।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত করোনার হানায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। অন্য কোনো দেশ আক্রান্ত ও মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ধারে-কাছেও নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখেছে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। এছাড়া আরও বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যের করোনা পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে। ফলে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নতুন করে করোনার বিস্তার বাড়তে থাকায় কয়েকটি রাজ্যে বিধি-নিষেধ শিথিলের পদক্ষেপ থেকে সরে এসেছে প্রশাসন। বিভিন্ন বীচ,রেস্টুরেন্ট,বার,নাইট ক্লাবসহ অনেক প্রতিষ্ঠান আবারও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে করোনার বিস্তার রোধে আরোপিত বিধি-নিষেধ তুলে নেয়ার পরই নতুন করে দেশটিতে করোনার প্রকোপ বেড়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে মহামারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, দেশটিতে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে ১০ গুণ বেশি হতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এখনই করোনার সংক্রমণের গতি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এবং জনগণ স্বাস্থ্য বিধি না মানলে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে।
বিবার্তা/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]