পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে।বিক্ষোভ ঠেকাতে অন্তত ৪০টি শহরে কারফিউ জারি হলেও তা ভেঙে রাস্তায় নেমেছে বিক্ষোভকারীরা।খবর বিবিসি’র।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, নিউইয়র্ক, শিকাগো, ফিলাডেলফিয়া এবং লস অ্যাঞ্জেলেসে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভাকারীরা হোয়াইট হাউসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে নিরাপত্তা কর্মীদের দিকে ঢিল ছুড়েছে।কাঁদুনে গ্যাসের শেল নিক্ষেপের পাশাপাশি ফ্ল্যাশ গ্রেনেড ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হয়েছে দাঙ্গা পুলিশকে।এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড জানিয়েছে, রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ ১৫টি রাজ্যে তাদের পাঁচ হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে।
২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপলিসে পুলিশ জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা করে। ফ্লয়েডের গাড়িতে জাল নোট থাকার খবর পেয়ে তাকে আটক করতে গিয়েছিল পুলিশ। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের ভিডিওতে দেখা গেছে, হাঁটু দিয়ে তার গলা চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সদস্য। নিহত ফ্লয়েড নিরস্ত্র ছিলেন। নিঃশ্বাস নিতে না পেরে তাকে কাতরাতে দেখা যায়। কৃষ্ণাঙ্গদের দাবি, বর্ণবিদ্বেষের বলি হয়েছেন ফ্লয়েড। হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে যুক্তরাষ্ট্র।
এরপর বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে একের পর এক টুইট করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, যারা কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু নিয়ে প্রতিবাদ করছেন, তারা নৈরাজ্যবাদী। ট্রাম্পের দাবি বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে গিয়ে দেশের প্রগতিশীল বামপন্থী শক্তিগুলি দেশের মধ্যে নৈরাজ্য চালাচ্ছে।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]