তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দিদের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান চালাতে দেশটির ভেতর প্রবেশ শুরু করেছে তুরস্কের সেনাবাহিনী। বুধবার (৮ অক্টোবর) ভোরের দিকে সেনাবাহিনীর অগ্রবর্তী দলগুলো তাল আবায়েদ ও রাস আল-আইন শহরের দুটি পয়েন্ট দিয়ে সিরিয়ায় ঢুকে। খবর ডেইলি সাবাহর।

তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি সন্ত্রাসীদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে সোমবার সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় এরদোগান সরকার। সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে সিরিয়া সীমান্তে তুরস্কের সাঁজোয়া যান মোতায়েনের ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হয়েছিল।

এদিকে তুরস্কের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সমর্থন জানিয়েছে ইরান।

বুধবার (৯ অক্টোবর) ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, নিজেদের নিরাপত্তার জন্য দক্ষিণ সিরিয়ায় তুরস্কের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালানোর অধিকার আছে। এই এলাকায় মার্কিন সেনাদের থাকার কোন অধিকার নেই। খবর ফার্স নিউজের।

রুহানি বলেন, দক্ষিণ সীমান্ত নিয়ে তুরস্কের অবশ্যই উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই উদ্বেগ দূর করার জন্য অবশ্যই সঠিক পদক্ষেপ নেয়া উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের অবশ্যই এই অঞ্চল ত্যাগ করতে হবে।

অন্যদিকে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে অভিযান চালালে তুরস্কের অর্থনীতি ধ্বংস করে দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে বলেছি, আমার দেশের জনগণের কোনো ক্ষতি যেন না হয়। তারা যদি সীমা লঙ্ঘন করে তাহলে এর পরিণতি ভালো হবে না। পিকেকের সঙ্গে তুরস্কের বিরোধ বহু পুরানো। এজন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দায়ী। পিকেক-তুরস্ক যুদ্ধ তিনিই শুরু করে দিয়েছিলেন। ট্রাম্প তুরস্ককে হুমকি দিলেও উত্তর সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি।

বিবার্তা/আবদাল