বাসসাম আল-সায়েশ। ইসরাইল দখলদার বাহিনীর হাতে বন্দি স্ত্রীকে দেখতে এসে কারারুদ্ধ হন তিনি। আর কারাগারেই মৃত্যুবরণ করেন ৪৭ বছর বয়সী এ ফিলিস্তিনি।
দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত ৮ সেপ্টেম্বর ৪৭ বছর বয়সী বাসসাম আল-সায়েশ অত্যাচার নির্যাতনে বিনা চিকিৎসা ও অবহেলা ইন্তেকাল করেন। রক্তসল্পতা, বোন ক্যান্সার ও হার্টের সমস্যা জর্জরিত এ ফিলিস্তিনি কারাগারে পাননি কোনো চিকিৎসা।
ইসরাইলের কারাগার থেকে দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ এ মুসলিম বন্দির মৃত্যুর আগে লেখা আবেগঘন চিঠি। যা সবাইকেই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে।
কী লেখা ওই চিঠিতে
‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
হয়তো তোমাদের বলা এই আমার শেষ কথা। আমি জীবনের শেষ দিনগুলোর একেবারেই শেষ মুহূর্তে। শ্বাস-প্রশ্বাসের অন্তিমকালে। আমার প্রথম কথা- ‘আমি তোমাদের সবাইকে ভালোবাসি।’
‘আমার মাতৃভূমি, আমার দেশের প্রতি শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক। নাবলুসের ওপর নাজিল হোক আল্লাহর রহমত। আমার সেসব স্মৃতিসমূহ অমলিন থাকুক, যেগুলো মাতৃভূমির সঙ্গে আমার ভালোবাসাকে দৃঢ় করেছে। আমার পরিবার-প্রতিবেশীকে সালাম। আমার মসজিদ-মিহরাব, জামিয়া ও বন্ধুদের ওপর প্রশান্তির বৃষ্টি ঝরুক।
যারা সামর্থ থাকা সত্ত্বেও আমাকে দুর্দিনে সাহায্য করেনি তাদের কথা বাদই দিলাম, তবে তোমাদের কাছে আমার শেষ ওসিয়ত ও উপদেশ-
ইসরাইলের কারাগারে আমার অসুস্থ বন্দি ভাইদের জুলুম-অত্যাচার ও সীমাহীন ব্যথা-বেদনার অন্ধকার ওই কারাপ্রকোষ্ঠে ফেলে রাখতে দিও না। তোমাদের কাছে আমার আকুল আবেদন- ইসরাইলের কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্ত করে আমার প্রতি রহম করো তোমরা।’
চিঠির ভাষাই বলে দেয়, ইসরাইলের অন্ধকার কারাপ্রকোষ্ঠে অত্যাচার-নির্যাতনে মৃত্যুর অপেক্ষায় আছে সংখ্যা না জানা ফিলিস্তিনি বন্দি। যারা বাসসাম আল-সায়েশের মতোই অপেক্ষা করছে করুণ মৃত্যুর।
বিবার্তা/রবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]