শিরোনাম
নদী নিয়ে ঢাকা-দিল্লি বৈঠক চান মমতা
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০১৯, ১১:০৫
নদী নিয়ে ঢাকা-দিল্লি বৈঠক চান মমতা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ ওঠায় সপ্তাহখানেক আগেই বিধানসভায় পানির প্রসঙ্গ তুলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, বাংলাদেশ ইলিশ বন্ধ করেছে। তিস্তার জল দিতে পারিনি। তবে দিতে পারলে খুশি হতাম।


এরপর মঙ্গলবার তিনি বিধানসভায় দাবি তোলেন, বাংলাদেশের সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের আলোচনার ভিত্তিতে নদীকেন্দ্রিক সমস্যার সমাধান করতে হবে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতে এই সমস্যার সমাধানে একটা স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন।


বাংলাদেশের সঙ্গে নদীর পানি নিয়ে ভারতের টানাপড়েন দীর্ঘদিনের এবং সেই পানি মানে শুধু তিস্তার পানি নয়। বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া নদীর পানি নিয়েও সমস্যা আছে।


দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডির বিধায়ক নর্মদাচন্দ্র রায় এ দিন বিধানসভায় বলেন, বাংলাদেশ থেকে যে সব নদী এ রাজ্যে ঢুকেছে, বর্ষার পরে প্রতিবেশী দেশ সেগুলোতে বাঁধ দিচ্ছে। ফলে বিভিন্ন নদী কার্যত শুকিয়ে যাচ্ছে। তার প্রভাব পড়ছে কৃষি, পানীয় জল প্রকল্প, মৎস্য চাষ এবং পরিবেশের উপরে।


তিনি বলেন, আত্রেয়ী, তুলাই, পুণর্ভবা, টাঙ্গনের মতো নদী বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরে এসেছে। ওই নদীগুলোর উপরেই গোটা জেলার কৃষিসহ সব কিছু নির্ভর করে। কিন্তু বর্ষার পরে যখন পানির প্রয়োজন বাড়ে, বাংলাদেশ ওই নদীগুলোতে বাঁধ দিয়ে দেয়। ফলে ওই জেলায় নদীগুলো শুকিয়ে যায়। অথচ ভরা বর্ষায় বাঁধ না-দেয়ায় বন্যা হয়।


আত্রেয়ী নদীর উপরে একটি পানীয় জল প্রকল্প রয়েছে। এই সমস্যার জেরে সেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উল্লিখিত নদীগুলোর মাধ্যমে সরাসরি সেচ ব্যবস্থা চালু আছে। কিন্তু বাঁধ দেয়ার ফলে বিভিন্ন নদী শুকিয়ে যাওয়ায় চাষের কাজে পানিই পাওয়া যাচ্ছে না।


বিধায়ক এই সমস্যার কথা জানান সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে। তবে উত্তর দেন মুখ্যমন্ত্রী।


তিনি বলেন, বিষয়টি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মধ্যে পড়ে। আত্রেয়ীর বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। দেশের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেও জানিয়েছি। বাংলাদেশে বাঁধ দেয়ায় জল আটকে যাচ্ছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বিপদ বাড়ছে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আলোচনা হলে ভাল হয়। কিন্তু সবটাই চলছে ক্যাজুয়ালিভাবে। এটা নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার।


বিষয়টি কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরার জন্য সব দলের প্রতিনিধি পাঠানোর প্রস্তাব দেন বাম বিধায়ক সমর হাজরা। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com