শিরোনাম
চাঁদাবাজির অর্থ ফেরত দিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ মমতার
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০১৯, ১১:৫৭
চাঁদাবাজির অর্থ ফেরত দিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ মমতার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

চাঁদাবাজির অর্থ ফেরত দিতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। কলকাতায় নজরুল মঞ্চে দলের কাউন্সিলরদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।


মমতা বলেন, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা বণ্টন বা অন্য নানা অজুহাত শাসক দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ মানুষের থেকে চাঁদা তুলছেন। এ সব দুর্নীতি বরদাস্ত করব না। চোরদের আমি দলে রাখব না।


তিনি বলেন, গরিবদের জন্য বাংলার বাড়ি প্রকল্পে টাকা থেকেও ২৫% কমিশন দলের লোকেরা নিচ্ছে, আমি সব খবর রাখি। সমব্যথী প্রকল্পে দুই হাজার রুপির মধ্যেও ২০০ রুপি কেন নেয়া হচ্ছে? দল এ সব বরদাস্ত করবে না। যারা অর্থ নিয়েছেন, ফেরত দিয়ে দিন।


মানুষের জন্য বরাদ্দ প্রকল্প থেকে চাঁদা নেয়া দলের এক শ্রেণীর লোকের অভ্যাস হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তার সতর্কবার্তা সত্ত্বেও চাঁদাবাজি যে দলে চলছেই, তাও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন মমতা। আর যাতে কেউ চাঁদা না নেয়, তার জন্য সতর্ক করেছেন। সরকারি প্রকল্পের এক রুপিও নেতা-কর্মীদের নেয়ার অধিকার নেই।


পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কাউন্সিলরদের বেশিরভাগই এখন এলাকার কাজ না করে শুধুমাত্র প্রোমোটিংয়ে ব্যস্ত থাকে। নিজের এলাকায় কাজ না করে এখন অনেকেই বাড়ি আর প্রোমোটিংয়ের সঙ্গে শুধু সম্পর্ক রাখছেন। সরকার এই চুরি ধরলেই অন্য দলে পালিয়ে যাচ্ছেন। অন্য দলে গিয়েও লাভ নেই। সরকারের পাই-পয়সার হিসেব আছে। পালালে তো আরো ফাঁসবেন।


সাধারণ মানুষের অর্থ নেয়ার পাশাপাশি সরকারি সম্পত্তি তৃণমূল কর্মীদের অনেকে জবরদখল করে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।


কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, অনেকে সরকারি সম্পত্তি নিজের পরিবারের নামে করে নিয়েছেন। জনগণের সম্পত্তি দখল করার অধিকার কারো নেই। কারা সরকারকে ফাঁকি দিয়ে নিজের পরিবারের নামে করে নিয়েছে, তাও জানি। প্রত্যেকটা ঘটনার তদন্ত হবে।


চাঁদাবাজির অর্থ ফেরত দেয়ার এই নির্দেশকে অবশ্য নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, দলের লোকেরা যে চাঁদা তোলে, তা এতদিনে বুঝলেন মমতা ব্যানার্জী? কিন্তু মুখে তো বলছেন, চাঁদা ফেরত দিতে। কী ভাবে, কাকে ফেরত দেয়া হবে, তা কি উনি বলে দিয়েছেন? না কি ফাঁকা বুলি দিলেন?


বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, অর্থ ফেরতের এই নির্দেশের সত্যিই সারবত্তা থাকলে তিন মাসের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় জানান, তার দলের কে কাকে চাঁদাবাজির কত অর্থ ফেরত দেবেন। যদি সাহস থাকে, শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। এই চ্যালেঞ্জ যদি মুখ্যমন্ত্রী রাখতে না পারেন, তা হলে বুঝতে হবে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এ সব নির্দেশ উনি দিচ্ছেন।


কংগ্রেসের আব্দুল মান্নানের প্রশ্ন, কোথা থেকে অর্থ নেয়া হয়েছে, তার কোনো তালিকা আছে নাকি? তা হলে কাদের অর্থ ফেরত দেবেন? উনি যা বলছেন, তার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। ওর দলের কাউন্সিলর, বিধায়ক, মন্ত্রী, এমপিদের কী ছিল, আর বিপুল সম্পত্তি হয়েছে, তা কি এতদিন চোখে পড়েনি? সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা


বিবার্তা/তাওহীদ/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com