শিরোনাম
জন্মের পর রাহুলকে প্রথম কোলে নেন তিনি
প্রকাশ : ১০ জুন ২০১৯, ১২:৫৬
জন্মের পর রাহুলকে প্রথম কোলে নেন তিনি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

আর কয়েকদিন পর ৪৯ বছরে পা দেবেন ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।


তার আগে কেরালার ওয়েনাড সফরে গিয়ে রাহুল দেখা করে গেলেন ৭২ বছর বয়সি অবসরপ্রাপ্ত নার্স রাজাম্মা ভাভাতিলের সঙ্গে। জড়িয়ে ধরে ছবি তুলেন তার সঙ্গে। হাসিমুখে হাত ধরে কাছে গেলেন। সে ছবি পোস্টও করলেন তার টুইটার অ্যাকাউন্টে।


রাজাম্মার সঙ্গে রাহুলের সম্পর্ক আজকের নয়। ইন্দিরা গান্ধীর নাতির জন্মের সাক্ষী তিনি। ৪৯ বছর আগে দিল্লির হলি ফ্যামিলি হসপিটাল-এ সদ্যোজাত রাহুলকে দু’হাতে ধরেছিলেন রাজাম্মা।
তখন রাজাম্মা শিক্ষানবীশ নার্স। রাহুলের দেখভালের ভার ছিল তার উপরেই। এই সব অভিজ্ঞতা রবিবার ফের রাহুলকে বলেছেন রাজাম্মা। মন দিয়ে তার প্রতিটি কথা শুনেছেন রাহুল।


তার জন্মের আগে তার বাবা রাজীব গান্ধী ও চাচা সঞ্জয় গান্ধী লেবার রুমের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। সোনিয়া গান্ধীকে তখন নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেখানকার রাজাম্মার মনে রয়েছে প্রতিটি মুহূর্তই।


লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন কংগ্রেস সভাপতির নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সেই সময়ে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে এগিয়ে এসেছিলেন রাজাম্মাই।


তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন, রাহুলের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার কারও নেই। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ফোনে তখন তিনি বলেছিলেন, আমি সেই ভাগ্যবানদের একজন, ওকে প্রথম কোলে তুলেছিলাম। কী মিষ্টি ছেলেটা। ওর জন্মের সাক্ষী আমি। আমরা সবাই তখন উত্তেজিত, ইন্দিরা গাঁধীর নাতিকে দেখছি!


বিজেপি নেতার এমন অভিযোগে ব্যথিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।


৪৯ বছর পরে তার দেখা সেই মিষ্টি ছেলে তারই দোরগোড়ায়! দৃশ্যতই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন রাজাম্মা। সাংবাদিকদের পরে তিনি বলেন, খুব ভাল লাগছে। আমিই প্রথম ওকে কোলে তুলে নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। সব স্মৃতি এক ঝটকায় মনে ফিরে এসেছে ওকে দেখে।


১৯৮৭ সালে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে রাজাম্মা দিল্লি থেকে ফিরে এসেছিলেন কেরালার কল্লুরে। ওয়েনাডে সুলতান ব্যাতারির কাছেই কল্লুর। ফেরার পর থেকে গৃহকর্ত্রীর ভূমিকাই পালন করছেন তিনি। রাহুল তার তিনদিনের ব্যস্ত সফরসূচির মধ্যে সময় বের করে দেখা করেছেন বলে কৃতজ্ঞ রাজাম্মার গোটা পরিবার।


রাজাম্মার পাশাপাশি রাহুল বাড়ির বাকিদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। ছিলেন রাজাম্মার স্বামী ও নাতি-নাতনি।


রাজাম্মা বলেন, ওকে কিছু উপহার দেয়া উচিত, মনে হয়েছিল আমার। তাই আমার হাতে বানানো চিপস্ আর মিষ্টি দিলাম। রাহুল তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আবার আসবেন তার বাড়িতে।


রাহুল তার বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার সময় রাজাম্মা তাকে কাঁঠালের চিপস্ আর মিষ্টি হাতে ধরিয়ে দেন। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com