
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যায় শিশুটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি বলেন, আজ বিকেলের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহিয়া আইসিইউতে মারা যায়। শিশুটির শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এর আগে আমাদের জাতীয় বার্নে আরও ১২ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ঢাকা মেডিকেল বার্নেও একজন মারা যায়। এখন পর্যন্ত জাতীয় বার্ন ও ঢাকা মেডিকেল বার্ন মিলে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে— বলেন আবাসিক সার্জন।
মাহিয়ার মা আফরোজা বেগম বলেন, আমার মেয়ে মাইলস্টোন স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে লেখাপড়া করত। তিন মেয়ের মধ্যে মাহিয়া ছিল মেজ। পাঁচ বছর আগে ওর বাবা মারা যায়। বর্তমানে আমরা উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে নিজেদের ফ্ল্যাটে থাকি।
তার অভিযোগ, তার বাচ্চা সকাল ৭টায় বাসা থেকে বের হয় সকাল ৮টা থেকে ক্লাস শুরু হয়ে দুপুর একটায় তাদের ক্লাস শেষ হয়। এই মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ জোর করে বাচ্চাদের আটকে রাখে কোচিংয়ের জন্য। বাধ্য করা হয় কোচিং করতে। যদি দুপুর ১টায় তারা বের হতে পারতো তাহলে হয়তো তারা বেঁচে যেত। এমনভাবে তারা ক্লাসরুমকে খাঁচার মতো তৈরি করে রেখেছে চাইলেও বের হতে পারে না বাচ্চারা। আমার বাচ্চা তো মারা গেল এর দায় এখন কে নেবে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার পর রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিল। যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]