মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সবজি রফতানি হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে মানিকগঞ্জে কাঁচা মরিচের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।

জেলার তিনটি উপজেলা শিবালয়, হরিরামপুর ও ঘিওরে মূলত কাঁচা মরিচের চাষাবাদ হয়। চলতি মৌসুমে জেলায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা তাদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য পেয়ে খুব খুশি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই) জানিয়েছে, বারাঙ্গালী হাট থেকে কয়েকটি রফতানি সংস্থার মাধ্যমে প্রতিদিন সৌদি আরব, দুবাই ও কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে বিপুল পরিমাণ কাঁচা মরিচ রফতানি হচ্ছে।

মানিকগঞ্জ জেলায় সফরকালে কয়েক’শ কৃষককে বারাঙ্গালী হাটে তাদের উৎপাদিত কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে দেখা গেছে। উৎপাদনকারীদের কয়েকটি দল রফতানির জন্য কাঁচা মরিচের কার্টনগুলো স্তূপ করে রেখেছে।

তাজুদ্দিন এন্টারপ্রাইজের পরিচালক তাজুদ্দিন বলেন, তিনি ২০ বছরের বেশি সময় ধরে কাঁচা মরিচের চাষ করছেন। বিগত কয়েক বছর ধরে কয়েকজন কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী মধ্যপ্রাচ্যসহ বিদেশে কাঁচামরিচ রফতানি করছেন।

তিনি বলেন, গুণগত মানের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের কাঁচা মরিচের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

তাজুদ্দিনের মতো জহুরুল হক, মোফাজ্জল হোসেন ও শফি মিয়াও মধ্যপ্রাচ্যে সবজি রফতানি করছেন। তবে বেশ কয়েকজন মধ্যসত্ত্বভোগী মরিচের মৌসুমী ব্যবসার মাধ্যমে ভাল মুনাফা করে থাকে বলে জানা গেছে।

ডিএই’র সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলার সাতটি উপজেলার মোট ৩ হাজার ৪৬৯ হেক্টর জমিকে মরিচ চাষের আওতায় আনা হয়েছে। এ মৌসুমে ২৭ হাজার৭৫২ মেট্রিক টন মরিচ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিবার্তা/জাকিয়া