
লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলো ভারত। সম্প্রতি মূল উৎপাদনকেন্দ্রগুলোতে পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমে আসায় রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
২ জানুয়ারি, মঙ্গলবার দেশটির ঊর্ধ্বতন এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইকোনমিক টাইমস।
এতে বলা হয়, ভারতের মূল উৎপাদনকেন্দ্রগুলোতে পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমে গেছে। এতে সরকার রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার চিন্তা করছে। তবে সরকারের আগের নির্দেশনা অনুযায়ী পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা ৩১ মার্চ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
গত ৮ ডিসেম্বর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। মূলত দেশটিতে গত বছর পেঁয়াজ উৎপাদন কমে যাওয়ায় ডিসেম্বরের আগের তিন মাসে দেশটির বাজারে এই পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এরপর রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
তবে উৎপাদন বাড়ায় রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলতে পারে কর্তৃপক্ষ। যদিও আগে বলা হয়েছিল, পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা ৩১ মার্চ পর্যন্ত থাকবে।
পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর থেকে ভারতের বাজারে দাম কমতে শুরু করে। গত কয়েক দিনে পেঁয়াজের দাম ২০ শতাংশ কমে কুইন্টালপ্রতি ১ হাজার ৫০০ রুপিতে নেমে আসে, যা একসময় ১ হাজার ৮৭০ রুপিতে উঠেছিল। নিষেধাজ্ঞার পর মহারাষ্ট্রের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম ৬০ শতাংশ কমেছিল। মূলত নতুন খরিফ পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম এভাবে কমছে। এখন প্রতিদিন ১৫ হাজার কুইন্টাল খরিফ পেঁয়াজ বাজারে আসছে।
রবিশস্যের তুলনায় খরিফ শস্যের মেয়াদ কম। সে জন্য এই পেঁয়াজ খুব দ্রুত বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, তারা চান না যে দাম খুব বেশি পড়ে যাক।
ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, বিশ্ববাজারে ভারত রফতানিকারক হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে চায় এবং যেসব দেশের সঙ্গে ইতিমধ্যে বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে, তার প্রতি সম্মানও দেখাতে চায়।
২০২৩ সালে মহারাষ্ট্রে অসময়ে ভারী বৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। শুধু পেঁয়াজ নয়, গত বছর ভারতের বাজারে টমেটোর দামও অনেক বেড়ে যায়, এমনকি কেজিতে তা ২০০ রুপি পর্যন্ত উঠে যায়। একপর্যায়ে দেশটি পেঁয়াজ রফতানি নিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটে।
পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার আগে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। তখন এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এমনকি তারা ধর্মঘটও করেন। এরপর রপ্তানির ন্যূনতম দাম বেঁধে দেওয়া হয় এবং শেষ পর্যন্ত রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]