চলতি অর্থবছরে কৃষিজাত পণ্যে রফতানি আয় বেড়েছে ২২%
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৩, ২০:৫৩
চলতি অর্থবছরে কৃষিজাত পণ্যে রফতানি আয় বেড়েছে ২২%
বিনোদন ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশ থেকে রফতানিকৃত সব পণ্যের রফতানি বাবদ আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩৯৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এসময়ে মোট রফতানি আয় হয়েছে ১ হাজার ৩৬৮ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এ হিসাবে আলোচ্য প্রান্তিকে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয় কমেছে ২ দশমিক ১৬ শতাংশ। তবে এ প্রান্তিকে সব পণ্যের রফতানিকৃত আয় আগের হিসাব বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে যেখানে মোট রফতানি আয় হয়েছিল ১ হাজার ২৪৯ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে যেখানে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় দেশের প্রায় সব পণ্যের রফতানির সূচক নিম্নমুখী রয়েছে। সেখানে এমন পরিস্থিতির মধ্যেও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২২ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কৃষিজাত পণ্যের রফতানি আয়ে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।


তথ্য অনুসারে, চলতি অর্থববছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশের কৃষিজাত পণ্যে মোট রফতানি আয় হয়েছে ২৫ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার ডলার। যেখানে এ সময়ের জন্য এই জাতীয় পণ্যের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২১ কোটি ৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এ হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কৃষিজাত পণ্যের রফতানি আয় বেড়েছে ২২ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে এ পণ্যের রফতানি আয় হয়েছিল ২৭ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার ডলার। এ হিসাবে অবশ্য আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কৃষিজাত পণ্যের রফতানি কমেছে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ।


বাংলাদেশ যেসব কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রফতানি করে তার মধ্যে প্রধানত শুকনা খাদ্য, তামাক ও তামাকজাত পণ্য, শাক-সবজি, মশলা, প্রাণিজ বা উদ্ভিজ্জ চর্বি ও তেল, সুগার-কনফেকশনারি, ফল ও জুস, পান পাতা, পানীয়, চা, সেমাই, জুস, ওয়েল কেক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।


চলতি অর্থববছরের প্রথম প্রান্তিকে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রফতানি আয় এসেছে শাক-সবজি থেকে। এসময়ে পণ্যটি থেকে রফতানি আয় হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ডলার। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়ছিল ১ কোটি ৪৫ লাখ ৫৭ হাজার ডলার। এ হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পণ্যটি থেকে রফতানি আয় বেড়েছে ২২৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২৬৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। ওই সময়ে পণ্যটি থেকে রফতানি আয় হয়েছিল ১ কোটি ৩০ লাখ ১০ হাজার ডলার।


এ বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রফতানি আয় এসেছে শুকনা খাদ্যজাত পণ্য থেকে। এ সময়ে পণ্যটি থেকে মোট রফতানি আয় হয়েছে ৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। যেখানে এসময়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। অবশ্য লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পণ্যটি থেকে রফতানি আয় কমেছে ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৮ দশমিক ৩১ শতাংশ। ওই সময়ে পণ্যটি থেকে রফতানি আয় হয়েছিল ৫ কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার ডলার।


তৃতীয় সর্বোচ্চ রফতানি আয় এসেছে তামাক ও তামাকজাত পণ্য থেকে। আলোচ্য সময়ে পণ্যটি থেকে রফতানি আয় হয়েছে ৪ কোটি ২২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এসময়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল ৪ কোটি ১৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার। অথাৎ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পণ্যটি থেকে রফতানি আয় বেড়েছে ১ দশমিক ২৭ শতাংশ। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় পণ্যটি থেকে রফতানি আয় কমেছে ৩৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। ওই সময়ে এ পণ্যের রফতানি আয় হয়েছিল ৬ কোটি ৯৭ লাখ ১০ হাজার ডলার।


পরের অবস্থানে থাকা প্রাণিজ বা উদ্ভিজ্জ চর্বি ও তেল পণ্য রফতানি বাবদ আয় হয়েছে ২ কোটি ৮০ লাখ ৮০ হাজার ডলার। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এ হিসেবে পণ্যটি থেকে আলোচ্য সময়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ কম হয়েছে রফতানি আয়। আর গত অর্থবছরের একই সময়ে এ পণ্যটি থেকে রফতানি আয় হয়েছিল ৫ কোটি ১২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। যার থেকে আলোচ্য সময়ে রফতানি কমেছে ৪৫ দশমিক ২৪ শতাংশ।


পঞ্চম অবস্থানে থাকা তেল বীজ রফতানি বাবদ আলোচ্য সময়ে আয় হয়েছে ১ কোটি ২৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এজন্য লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এসময়ে পণ্যটি থেকে রফতানি আয় বেড়েছে ২৮৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আর গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি আয় বেড়েছে ৬৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। ওই সময়ে পণ্যটি থেকে রফতানি আয় হয়েছিল ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার।


এছাড়া আলোচ্য সময়ে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয়ে ফল ও জুস থেকে ১ হাজার ৬০ শতাংশ, পান পাতা থেকে ১৮৮ দশমিক ৯২ শতাংশ, চা থেকে ২৩ দশমিক ২১ শতাংশ, সুগার ও সুগারজাত কনফেকশনারি থেকে ১২ দশমিক ৯৭ শতাংশ, মশলা থেকে ৬ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং অন্যান্য পণ্যে ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com