রাখি বন্ধন উৎসবের সুন্দর কিছু মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়ে স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘রক্ত নিতে আসা একজন মানুষের সঙ্গে কেমন রক্তের সম্পর্ক হয়ে যায় আমাদের।’ কিন্তু কী হয়েছে অভিনেত্রীর? হঠাৎ কেন তার ব্লাড টেস্ট করাতে হলো?
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের পোস্ট থেকেই জানা যাচ্ছে, অস্ত্রোপচার করাতে হবে তাকে। আর সে কারণেই নাকি ব্লাড টেস্ট করাতে হয়েছে।
দীর্ঘ সেই পোস্টে স্বস্তিকা লেখেন, ‘‘ফাল্গুনী দা, ওনার পুরো নাম টা জানিনা। কোনোদিন জিজ্ঞেস করার কথাও মনে আসেনি। বাবা সব সময়, ওহে ফাল্গুনী, বলে ডাকতো, মা আর আমরা দুই বোন নামের সঙ্গে ‘দা’। আমার যখন ২০ বছর বয়স হবে, তবে থেকে ফাল্গুনী দা আমাদের বাড়িতে আসেন, তার আগে থেকে আসেন তেমনটাও হতে পারে। ঠিক মনে নেই। রক্ত পরীক্ষা করতে হলেই ওনার ডাক পরে। এসআরএল ডায়াগনস্টিক এ কাজ করেন উনি, সারাজীবন এই সাদা পোশাক পরে আসেন, মুখে স্মিত হাসি, এসেই বলেন এক ফোঁটাও ব্যাথা লাগবে না। সত্যি তাই। ছুঁচে আমার বড় ভয়, কিন্তু বোঝার আগেই রক্ত নেয়া হয়ে যায় ওনার।’’
এরপরই নিজের অস্ত্রোপচারের কথা জানিয়ে স্বস্তিকা লেখেন, ‘আমার সামনের সপ্তাহে একটা অপারেশন হবে, তাই আজকে রক্ত নেয়ার জন্য এসেছিলেন বাড়িতে। ঢুকেই বললেন, আগে হাত টা দাও তো দিদিমনি, আমি বললাম তুমি যে কিসব বাঁধো রক্ত নেয়ার আগে ওটা বাঁধবে না? বললেন আগে রাখী টা পরাই, এমন দিনে তোমার কাছে এলাম, তুমি একা একা থাকো, সামনে একটা পরীক্ষা, কত সাহস তোমার, বাবা আছেন কিন্তু, সব ভালো হবে। তুমি হাসপাতাল থেকে ফিরলে জানিও আমি এসে দেখে যাবো।
‘দিদিমনি বলে ডাকে ফাল্গুনী দা আমাদের, আমাকে, বোন কে, আমার মেয়েকেও। রক্ত পরীক্ষার জন্য রক্ত নিতে আসা একজন মানুষের সঙ্গে কেমন রক্তের সম্পর্ক হয়ে যায় আমাদের। কত স্নেহ, মায়া, ভালোবাসা মিশে থাকে সেখানে। কোনোদিন বলি না, আজকে বললাম, দাঁড়াও, তোমার সঙ্গে একটা ছবি তুলি।’
অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘ফাল্গুনী দা যাওয়ার আগে দুটো কথা বললেন, ১. কত বয়স হলো তোমার? বললাম ৪২। বলল, ২০ ছিলে তো সেদিন, এতো কি করে বড় হয়ে গেলে? ২. দরজার বাইরে গিয়ে বললেন, হ্যাঁ গো বাবার ছবিতে রোজ একটু ধূপ দেখাও তো? তোমার কাছেই আছেন কিন্তু, আমি হেসে বললাম রোজ।’
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]