অবশেষে ভারতের নাগরিকত্ব পেলেন অক্ষয়
প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৩, ১৬:১৯
অবশেষে ভারতের নাগরিকত্ব পেলেন অক্ষয়
বিনোদন ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

অবশেষে ভারতের নাগরিকত্ব পেলেন অক্ষয় কুমার। মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসে তার নাগরিকত্বের প্রশংসাপত্র টুইট করেছেন অভিনেতা। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘দিল আর সিটিজেনশিপ দুটোই এখন হিন্দুস্তানি। হ্যাপি ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে। জয় হিন্দ।’


নিজেকে জাতীয়তাবাদী দেশভক্ত দাবি করলেও এতদিন ভারতের নাগরিকত্বই ছিল না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘনিষ্ঠ এ অভিনেতার কাছে। এই নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই সমালোচকদের তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়েন অক্ষয়। এবার সেই সমালোচনারই ইতি টানলেন তিনি।


২০১৯ সালে এক লিডারশিপ সামিট সেশনে অক্ষয় জানিয়েছিলেন শিগগির তিনি ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন। কিছুদিন আগে অক্ষয় কুমার জানিয়েছেন, ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য তিনি আবেদন করেছেন। কিন্তু কোভিডের কারণে আড়াই বছর সময় নষ্ট হয়। অবশেষে তিনি ভারতের নাগরিকত্ব পেলেন।


এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেতা জানিয়েছিলেন, বলিউডে ১৯৯০ এর দশকে তার অভিনীত একের পর এক সিনেমা ফ্লপ তকমা পাচ্ছিল। তখন বন্ধুদের পরামর্শে দেশ ছেড়ে কানাডায় বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অক্ষয়। কানাডার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু এরপরই ভক্তদের ভালোবাসায় পরপর হিট সিনেমা দিয়ে সাফল্যের শিখরে ওঠেন অক্ষয়। ২০১১ সালে কানাডা তাকে সে দেশের নাগরিকত্ব দেয়। তারপরই শুরু হয় বিতর্ক।


অক্ষয়কে বিদ্রুপ করে বারবার বলা হতো, তিনি ভারতীয় নন, ভারতের নাগরিক নন। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কারণে এই প্রশ্ন বারবার উঠতে থাকে। সমালোচকরা বলেন, অক্ষয় এত বড় জাতীয়তাবাদী যে তার ভারতীয় নাগরিকত্ব ও পাসপোর্টই নেই। এমন অবস্থায় আবার ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন অক্ষয়। স্বাধীনতা দিবসের আগেই হাতে পেয়ে যান পাসপোর্ট।


অক্ষয় কুমারের জন্ম পাঞ্জাবের অমৃতসরে। তার বাবা ওম ভাটিয়া ছিলেন আর্মি অফিসার। ছোট থেকেই খেলাধুলায় আগ্রহ ছিল অক্ষয়ের। কলেজের পড়াশুনার পাশাপাশি তিনি তায়কোন্ডুতে ব্ল্যাক বেল্ট পান। তার পর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে গিয়ে মার্শাল আর্ট শেখেন।


পরে কলকাতায় একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করেছেন। এরপর ঢাকায় একটি হোটেলে শেফের কাজও করেছেন। শেষে মুম্বাইতে মার্শাল আর্ট শেখানোর সময়ে তিনি পরিচালক-প্রযোজকদের নজরে পড়েন।


নব্বইয়ের দশকে অক্ষয়ের ছবি পরপর ফ্লপ হচ্ছিল। মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন তার থেকে। তখনই দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেন ‘খিলাড়ি’ কুমার। যদিও পরে ভারতে ফিরে আসেন, কাজ শুরু করে সাফল্য পান।


বিবার্তা/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com