
নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৬৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে আনন্দ র্যালি, কবুতর ও বেলুন উড়ানো, ঈশা খাঁ লেকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, ফলদ ও বনজ বৃক্ষরোপণসহ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস-২০২৫ উদযাপন কমিটি।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলিপ্যাডে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া দিবসটির উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে আনন্দ র্যালির সূচনা করা হয়। হেলিপ্যাড থেকে শুরু হওয়া র্যালিটি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে হয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় হেলিপ্যাডে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এরপর ব্রহ্মপুত্র নদ ও ঈশা খাঁ হল-সংলগ্ন লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। পাশাপাশি আবাসিক হলগুলোতে বৃক্ষরোপণের জন্য প্রাধ্যক্ষদের হাতে চারা গাছ তুলে দেওয়া হয়।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবের ৬৪ বছর: অর্জন ও সম্ভাবনা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন তাদের অনুষদের গবেষণা, অর্জন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি. এম. মুজিবুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শহীদুল হক, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ উদ্দীন ভূঁঞা, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীমসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
আলোচনা সভায় অধ্যাপক ড. জি. এম. মুজিবুর রহমান বলেন, নানা ঐতিহাসিক অর্জনের সাক্ষী হয়ে বাকৃবি আজ ৬৫ বছরে পদার্পণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়ন ও কৃষিখাতের উন্নয়নের জন্য উপাচার্য যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন আমরা তা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ও তৎকালীন সরকারের কমিশনের রিপোর্টে ১৯৬১ সনের ১৮ আগস্ট যে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় তা আজকে নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ৬৫তম প্রতিষ্ঠা দিবসে উপনিত হয়েছে এবং এই সুদীর্ঘ যাত্রার মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আজকে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় দেশ-বিদেশে প্রশংসিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের এই অবস্থানের পেছনে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন যে, মাতৃসম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম যেন খর্ব না হয় বরং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায় সেজন্যে আমাদের সকলকেই পরিশ্রম, নিয়মানুবর্তিতা ও ধৈর্যের মাধ্যমে কাংখিত লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রসারণের উপর অধিকতর মনোনিবেশের এবং আলোচকদের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনার বিপরীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।
বিবার্তা/আমান/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]