লক্ষ লক্ষ স্মার্ট দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরিই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিপ্রায়: ড. মশিউর রহমান
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৪, ২১:২০
লক্ষ লক্ষ স্মার্ট দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরিই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিপ্রায়: ড. মশিউর রহমান
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

লক্ষ লক্ষ স্মার্ট দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরিই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল অভিপ্রায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।


তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন বিদেশে স্থায়ীভাবে থেকে না যায় দেশে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তারা বিশ্বনাগরিক হবে কিন্তু দেশমাতৃকার প্রতি তাদের প্রবল আকর্ষণ থাকতে হবে, তাদের সেই দীক্ষা দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে এমন যার বিকাশের পথে নতুন জায়গা সৃষ্টি হয়, নতুন জ্ঞান সৃষ্টি হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনারা যারা এসেছেন তারা পাঠগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুধু বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেবেন তা নয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আগামী দিনে বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছাবে এবং নেতৃত্ব দেবে। আমাদের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদেরকে যদি আমরা স্মার্ট সিটিজেন করতে পারি তাহলে তারা বিশ্বে নেতৃত্ব দেবেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে আমরা সেটি নিশ্চিতভাবেই করতে পারব।’


২৬ মার্চ, মঙ্গলবার রাজধানীর শুক্রাবাদে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা (পিজিডি) প্রোগ্রাম ভবনের মিলনায়তনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য ড. মশিউর রহমান।


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে নিশ্চিত করেছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেকে নিজেদের স্কিল বাড়ান, বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোবাসুন। তার মধ্য দিয়েই দেশসেবা সম্ভব হবে। আপনি যদি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে থেকে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করেন, যোগ্য হয়ে ওঠেন- তাহলে আপনার মাধ্যমেই আমাদের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী শ্রেষ্ঠ হয়ে উঠবে। তখনই আমরা স্বস্তিতে থাকতে পারব।’


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী সম্ভাবনার কথা উল্লেখ্য করে উপাচার্য বলেন, ‘আমরা কী ১০ বছর আগেও ভেবেছি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদাভাবে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা (পিজিডি) প্রোগ্রাম চালু হবে, আলাদা ভবন থাকবে। কিন্তু আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের যাত্রায় পিজিডি প্রোগ্রামগুলো বাংলাদেশে মহীরূহ হয়ে উঠবে। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট একটি স্বপ্ন নিয়ে চালু হয়েছিল। কিন্তু সামরিক বাহিনীর ছোবলের কারণে সেটি বন্ধ হয়েছিল। আবার সেটি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই ইনস্টিটিউটের জন্য যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে সেটি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশে এটি একটি শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। একটি সময় আসবে বিদেশের গবেষকরা এখানে আসবেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ নিয়ে গবেষণা করবেন। ভবিষ্যতে শেখ হাসিনাকে নিয়েও গবেষণা হবে। এটি হবে সেন্টার অব এক্সিলেন্স।’


ড. মশিউর রহমান আরও বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস অবশ্যপাঠ্য করার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নতুন প্রজন্ম আমরা গড়ে তুলেছি। তারই ধারাবাহিকতায় আইসিটি অবশ্যপাঠ্য করা হয়েছে। আগামী দিনে আমরা শিক্ষার্থীদের অন্ট্রাপ্রেনারশিপ, সফ্টস্কিল শেখাব। সেই বিশ্ববিদ্যালয় কোনোদিন ক্ষীণ হবে না, দুর্বল হবে না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বৈষম্যহীন সমাজ তৈরির জন্যই করা হয়েছে। আমরা চাইলেই সব কাঠামো ভেঙে দিতে পারব না। তবে বঙ্গবন্ধু কন্যার ভিশন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাব। আমাদের পথে পথে বাধা থাকবে। অগণতান্ত্রিক সরকার ছিল, সামরিক সরকার ছিল, জঙ্গিবাদের ছোবল ছিল। আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মীদের উপর হামলা হয়েছে। এই পথে পথে বাধা পেরিয়ে বাঙালি তার বীরত্ব গাথা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ধারণ করে পুনরায় জাগ্রত হয়েছে।’


বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য স্থপতি প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিস্টিংগুইসড প্রফেসর ড. এ কে এম নূর-উন-নবীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।


বিবার্তা/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com