শিক্ষা
কুবিতে শেখ রাসেল দিবস পালিত
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:০৮
কুবিতে শেখ রাসেল দিবস পালিত
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ বুধবার সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন’র নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয়। এরপর শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মাননীয় উপাচার্য জন্মবার্ষিকীর কেক কাটেন।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, মাননীয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান, শেখ রাসেল দিবস উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মুহম্মদ আহসান উল্যাহ, ছাত্রপরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান, ডিনবৃন্দ, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।


অত:পর উপস্থিত সবাইকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চের পাশে বৃক্ষরোপণ করেন মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। এর আগে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে চারটি বিদ্যালয় হতে ৯০ জন শিশু অংশগ্রহণ করে।


বৃক্ষরোপণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নং কক্ষে সকাল ১১.৩০ ঘটিকায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানার সাথে জার্মানিতে চলে যাওয়ার কথা ছিল শেখ রাসেলের। সেদিন চলে গেলে তিনি বেঁচে যেতেন।


তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হায়নার দল বাচ্চা শিশু শেখ রাসেলকেও হত্যা করেছে। শেখ রাসেলের মধ্যে ছিল এক মহৎ আদর্শ। আজ শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে শোষিত মানুষের নেতা হতেন। তিনি শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা স্বপ্ন দেখো, দেশকে ভালোবাসো এবং দেশের জন্য যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন তাঁদের সম্মান করো।


অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. নাসিম আখতার বলেন, শেখ রাসেলের মধ্যে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, চেতনা ও দায়িত্ববোধ ছিল। নব প্রজন্মের মধ্যে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, চেতনা ও দায়িত্ববোধ থাকলে তারা খুব সহজেই সাফল্যের শিখরে পৌঁছবে। শেখ রাসেলের স্বভাব ছিল বন্ধুসুলভ। শেখ রাসেলের কাজের মধ্যে ছিল ইতিবাচকতা। দেশে ইতিবাচকতা ছড়িয়ে পড়লে দেশের উন্নয়ন হবে।


আলোচনা সভা শেষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রদান শেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রফেসর ড. মুহম্মদ আহসান উল্যাহ উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।


বিবার্তা/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com